কলকাতা: ভারতের সাধারণ নির্বাচন শিগগিরই। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনেকটাই বেসামাল শাসকদল কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকজন মন্ত্রী ইতোমধ্যে পদত্যাগও করেছেন। কিন্তু তারপরেও যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে- তা মোটেই বলা যাচ্ছে না। এ কথা কংগ্রেস কর্মকর্তারাও ঢের বোঝেন।
এতদিন মুখে না বললেও রোববার তা প্রকাশ্যে কবুল করে নিলেন কেন্দ্রে শক্তিশালী নেতা অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। অর্থাৎ রাজনীতি এমন এক খেলা- যা অনেক সময় কিছুই সামনে বলার উপায় থাকে না।
কিন্তু কতক্ষণই বা চেপে রেখা যায়। চাপ বাড়লে কোনও কোনও সময় বলতে বাধ্য হতে হয়। সেই রকমই কি কিছু হলো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের?
রোববার সমুদ্র সৈকত গোয়ার `থিঙ্ক ফেস্ট`নামের অনুষ্ঠানে চিদম্বরম বলেন, মানতে বাধা নেই যে রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের কাছে মোদী প্রধান চ্যালেঞ্জার। আমরা তাকে কিছুতেই গ্রাহ্য করতে পারি না।
তিনি বলেন, মোদিকে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি প্রধান নেতা হিসেবে তুলে ধরেছে, সুতরাং উনি যাই বলুন না কেন মোদীকে আমাদের গুরুত্ব দিতেই হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মোদির আদর্শ, দর্শন এবং প্রকাশ্য জনসভায় যে ধরনের ভাষায় কথা বলেন তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। এখনও পর্যন্ত মোদি কোনও বড় ইস্যুতে মুখে না খুলে শুধু নির্বাচন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন এমন অভিযোগও করলেন চিদাম্বরম।
রাহুল গান্ধীকে দলের ও সরকারের প্রধান নেতা বানানোরও দাবি জানিয়ে রাখলেন চিদাম্বরম। কারণ হিসেবে বলেন, এখন সময় এসেছে তরুণ প্রজন্মের কাছে এগিয়ে যাওয়ার মশালটা তুলে দেওয়ার।
ভারতে যথেষ্ট সংখ্যেক তরুণ পুরুষ ও নারী আছেন যারা সরকারে শামিল হয়ে সুশাসন দিতে পারেন। রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর দাবি জানানোর পরেই অবশ্য সোনিয়া তনয়কে পরামর্শও দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ।
চিদম্বরম বলেন, জনসভায় রাহুলের উচিত দেশের বড় ইস্যুগুলোকে নিয়ে মতামত দেওয়া।
বিজেপি নরেন্দ্র মোদিকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরার পর এতদিন কংগ্রেসের শীর্ষে নেতৃত্ব প্রকাশ্যে যা বলছিলেন, তার মানে দাঁড়ায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের কাছে কোনও চ্যালেঞ্জ নয়।
কিন্তু দিন যত এগোচ্ছে জনসভা মোদির সুর তত চড়ছে। মোদি ময়দানে নামার পর প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাতেও কংগ্রেস অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে। মোদি ছায়া যে দীর্ঘ হচ্ছে সেটা চিদম্বরমরে এই কথাতেই স্পষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৩
এসএস/এএ/এসআরএস