ঢাকা: ১১-১২ শতর্কে নির্মিত পিরাহ বিহার মন্দিরের চারপাশের ভূমি নিয়ে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের দ্বন্দ্বের অবসান হলো। আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) মন্দিরের চারপাশের ওপর কম্বোডিয়ার সার্বভৌমত্বের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিস বলেছে, থাইল্যান্ডের সীমান্তে পিরাহ বিহারের চারপাশের ভূমির ওপর কম্বোডিয়ার সার্বভৌমত্ব।
২০০৮ সালে ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইট পিরাহ বিহারের কাছে মোতায়েনকৃত সৈন্য প্রত্যাহারে থাইল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছে আইসিজে।
পিরাহ বিহার নিয়ে দুই দেশের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। বেশ কয়েকবার দেশদুটির মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। ১৯৬২ সালে পিরাহ বিহার মন্দিরের ওপর কম্বোডিয়ার মালিকানার ঘোষণা দিলেও এর চারপাশের জমি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি আইসিজে।
সোমবার রায় ঘোষণার সময় আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিসের প্রেসিডেন্ট বলেন, আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পিরাহ বিহারের পুরো ভূখণ্ডের ওপর কম্বোডিয়ার সার্বভৌমত্ব থাকবে।
তিনি জানান, আর এ সিদ্ধান্তের কারণে ওই ভূখণ্ড মোতায়েনকৃত থাই সেনা, পুলিশ বাহিনী বা অন্য বাহিনী অথবা রক্ষী সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে থাইল্যান্ডের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ হলো।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে বিতর্কিত স্থান থেকে সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় দুই দেশ। কিন্তু শনিবার মন্দিরের নিকটবর্তী এলকার উপরে থাই বিমানকে চক্কর দিতে দেখতে থাইল্যান্ড সীমান্তে জরুরি বৈঠক করেন কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান।
তবে কম্বোডিয়ার আঞ্চলিক কমান্ডার জেনারেল স্রেই দিয়ুক জানান, সোমবারের রায়ের পর থাইল্যান্ডের সঙ্গে কোনো সমস্যা হবে না।
উগ্রজাতীয়তাবাদী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। থাই জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী থাই প্যাট্রোয়টিক নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, আইসিজের যেকোনো রায় প্রত্যাখান করবে তারা। এর আগে কম্বোডিয়ার মামলা তুলে নিতে আইসিজেতে আবেদন করেছিল নেটওয়ার্কটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৩
এসএফআই/জেসিকে