ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে ত্রাণ সহায়তা কাজে মার্কিন-ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৩
ফিলিপাইনে ত্রাণ সহায়তা কাজে মার্কিন-ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ

ঢাকা: হাইয়ানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হওয়ায় ফিলিপাইনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। এরই অংশ হিসেবে দেশটিতে ত্রাণ তৎপরতা কাজে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে।



ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এইচএমএস ডারিং মানবিক সহায়তা প্রদান এবং জাহাজে থাকা হেলিকপ্টার উদ্ধার ও ত্রাণকাজে ‍অংশ নেবে। সাগরের পানি থেকে খাবার পানি বানানের যন্ত্রও রয়েছে।

ক্যামেরন আরও জানিয়েছেন, দুর্গম এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে কমপক্ষে একটি বোয়িং সি-১৭ সামরিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্যাফট ব্যবহার করা হবে।

তিনি জানান, বর্তমানে এইচএমএস ডারিং সিঙ্গাপুরের কাছে মোতায়েন রয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণগতিতে ফিলিপাইনের দুর্যোগকবলিত এলাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

আরএএফ সি-১৭ ত্রাণসহায়তা অভিযানে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, এইচএমএস ডারিং ৫ দিনের মধ্যে পৌঁছবে এবং কয়েকদিনের মধ্যে সি-১৭ পৌঁছবে বলে যানা গেছে।

হাইয়ান আঘাত হানার পরপরেই ফিলিপাইনের জন্য এক কোটি পাউন্ড সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। শনিবার ব্রিটিশ ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট প্রাথমিকভাবে খাদ্য, আশ্রয় ও নিরাপদ পানির জন্য ৬০ লাখ পাউন্ড ছাড়ের কথা জানিয়েছে।

বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটনসহ অন্য জাহাজও পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রজাতান্ত্রিক ফিলিপাইনে দ্রুত গতিতে পৌঁছার জন্য পরমাণু চালিত বিমানবাহী জাহাজ ও অন্যান্য জাহাজকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জর্জ ওয়াশিংটন বর্তমানে হংকংয়ে রয়েছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জর্জ ওয়াশিংটন ফিলিপাইন উপকূলে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৮০টির বেশি বিমান ও প্রায় ৫ হাজারের বেশি সৈন্য ধারণ ক্ষমতার জর্জ ওয়াশিংটন ত্রাণ সহায়তা অভিযানে অংশ নেওয়ার যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যুদ্ধজাহাজটি পানি সতেজ করার অত্যাধুনিক যন্ত্র রয়েছে। ওই যন্ত্র দিয়ে দৈনিক ৪ লাখ গ্যালন সতেজ পানি উৎপাদন করা যায়।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জর্জ লিটল বলেছেন, প্রয়োজন মতে মানবিক সহায়তা সরবরাহের কাজে জাহাজ ও বিমান ব্যবহার করা হবে।

সোমবার ফিলিপাইনের দুর্যোগে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া ট্যাকলোবানে একটি মার্কিন ও ফিলিপাইনের সামরিক বিমান পৌঁছেছে। ফিলিপাইনের বিমান বাহিনী শনিবার থেকে ৬৬ জন ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এরই মধ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ছোট একটি দল ফিলিপাইনের উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া চিকিৎসক, ত্রিপল, ঘুমানোর মাদুর, মশারি, পানির পাত্র ও পোশাকের মতো খাবার নয় এমন সামগ্রী পাঠানোসহ এক কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার সহায়তা দেওয়ার একটি প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ১১ লাখ পাউন্ড সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

জাপান পাচ্ছে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি জরুরি চিকিৎসক দল।   ইন্দোনেশিয়াও বিমান ও আনুষঙ্গিক ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে। আনুষঙ্গিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে কর্মকর্তা, খাবার পানি, খাবার, জেনারেটর, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও ৮০ লাখ ইউরো সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের সরকার ও চীনা রেডক্রস এক লাখ করে দুই লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে। ভ্যাটিকান ৩০ লাখ ইউরো দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৩
এসএফআই/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।