আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ দল। আগামী পাঁচ বছরে ত্রিপুরার উন্নয়নে কত টাকা প্রয়োজন ও কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা বরাদ্দ করবে তা খতিয়ে দেখতেই অর্থ কমিশনের দল ত্রিপুরায় এসেছেন।
মঙ্গলবার অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
চতুর্দশ অর্থ কমিশনের দলটি সোমবার রাজ্যে পৌঁছায়। ওই দিন তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও এডিসির প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন।
স্টেট গেস্ট হাউসে এই পর্যালোচনায় সবাই রাজ্যের উন্নয়নের উপর অধিক অর্থ বরাদ্দের ওপর জোর দেন।
চতুর্দশ অর্থ কমিশন প্রতিনিধিদের কাছে ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন যেভাবে ত্রিপুরাকে বঞ্চনা করেছে সেভাবে আর বঞ্চনা না করার আহ্বান জানিয়েছেন বামদল সিপিএম প্রতিনিধি গৌতম দাস।
কংগ্রেস অভিযোগ করে বলেছে, রাজ্য সরকার, সরকরি কর্মচারীদের ওপর বঞ্চণা করেছে। তারা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দের ওপর জোর দেয়। সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের এই দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন কংগ্রেস প্রতিনিধি সুদীপ রায় বর্মণ।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেও তার কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের উন্নয়নের জন্য অর্থের দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সুধীন্দ্র দাশগুপ্ত।
ত্রিপুরা আদিবাসী স্বশাসিত জেলা পরিষদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এক হাজার ছয় কোটি টাকা দাবি করেছেন জেলা পরিষদের কার্য নির্বাহী সদস্য রঞ্জিত দেববর্মা।
আগরতলা পুর পরিষদ ও ১৯টি নগর পঞ্চায়েতের জন্য চতুর্দশ অর্থ কমিশনের কাছে চাওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা।
বুধবার চতুর্দশ অর্থ কমিশনের দল রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে আলোচনা করবেন। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের উন্নয়নে কি করা হয়েছে তা তুলে ধরা হবে প্রতিনিধিদের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৩
কেএইচকিউ/এসআরএস