ঢাকা: আফিম চাষে নতুন রেকর্ড গড়েছে আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো দেশটির ২ লাখ হেক্টরজুড়ে পপি চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবার আফিম চাষ শতকরা ৩৬ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের মোট চাহিদাও ছাড়িয়ে যেতে পারে দেশটির উৎপাদনের কাছে।
আফিম চাষ সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে হেলমান্দ প্রদেশে। যেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য আফিম উৎপাদন রোধ করতেই হেলমান্দে সেনা পাঠিয়েছিল।
কাবুলে ইউএনওডিসি প্রধান জ্যঁ-লুক লেমাইয়্যা বলেন, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের অনিশ্চয়তা ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাভাবিকভাবেই পরের বছর দেশটিতে আফিম উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, আফিমকেন্দ্রিক অবৈধ অর্থনীতি বৈধ ব্যবসার গুরুত্ব কমিয়ে দিচ্ছে। অবৈধ অর্থ ও বাইরের সহায়তার ফলে দেশটিতে পণ্যের দাম বেড়ে মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত আমরা এই মাদকরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সমাধানের কথা ভাবব ততদিন পর্যন্ত আমরা ব্যর্থ হতেই থাকব।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত হোতাদের আটক করার মাধ্যমে কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আফগানিস্তানের নিজস্ব রাষ্ট্রনীতির উন্নয়ন ঘটলেও এ আফিম সংকট কাটতে দেশটির আরও ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পপি চাষ ১ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর জমি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ৯ হাজার হেক্টরে পৌঁছেছে। এর ফলে বিশ্বের চাহিদা ৪৯ ভাগ বেড়ে গিয়ে ৫ হাজার ৫শ’ টনে পৌঁছাবে।
এর আগে দেশটির উত্তরে দু’টি প্রদেশ ফারিয়াব ও বালখকে পপি মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
সরকারের অনিচ্ছা সত্তেও ২০১০ সালের পর থেকে দেশটিতে আফিম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আফিমের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশিরভাগ চাষি শুধু পপি চাষেরই চেষ্টা চালাচ্ছেন। সারাবিশ্বে আফিম উৎপাদনের শতকরা ৯০ ভাগই আফগানিস্তানে চাষ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৩
কেএইচকিউ/এসআরএস