রকহ্যাম্পটন: ভারী বর্ষণের কারণে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে আরও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘লা নিনা’র প্রভাবে বৃহস্পতিবার কুইন্সল্যান্ডে আবারও নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, বন্যার পানি সত্ত্বেও বাড়ি ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানানো রকহ্যাম্পটনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন‘ বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সাহায্যের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রকহ্যাম্পটনের মেয়র ব্রাড কার্টার বলেন, ‘আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বিষয়টি আমরা খুব পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি যে ত্রাণ সরবরাহ করার জন্য আমরা সরবরাহকারীদের বিপদের মধ্যে ঠেলে দিতে পারি না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত। অথচ তারা অবস্থান করছেন। তাদের এখন থেকে প্রয়োজনীয় সেবা, পণ্যসামগ্রী অন্যান্য দ্রব্য সরবরাহ করা হবে না। ’
তবে অঞ্চলের বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বলেও জানা যায়। একে সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করা হচ্ছে যার কারণে রাজ্যের ৪০টি শহরের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, প্রবল জোয়ার কুইন্সল্যান্ডের ফসল, রাস্তা, সেতু ব্যাপকভাবে ধ্বংস করে এবং ১০ জন মানুষসহ হাজার হাজার পশু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ফলে বিমানের সাহায্যে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
নতুন করে ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে এরইমধ্যে কুইন্সল্যান্ডের কয়লাখনির ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
নতুন করে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ কুইন্সল্যান্ড ছাড়াও বন্যা কবলিত রকহ্যাম্পটন এবং বানডাবার্গ শহরকে প্রভাবিত করবে বলে আবহাওয়াবিদ ব্রায়ান রোলস্টোনের বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এবিসি সম্প্রচারমাধ্যম জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১১