কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে ফের গুলি চলল। সিপিএম ও জনসাধারণের কমিটির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ ৭ জন গ্রামবাসী মারা গেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, শুক্রবার সকালে লালগড় থানা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নেতাই গ্রামে মাওবাদীদের অত্যাচারে ঘরছাড়া সিপিএমের সমর্থকদের একটি শিবিরে অস্ত্র আছে এই অভিযোগে জনসাধারণের কমিটির লোকজন হামলা চালায়। শিবির লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। এই সময় চিত্ত দাস নামে এক সিপিএম কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এরপরই সিপিএমের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিরোধ শুরু হলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়, যা চলে দুপুর পর্যন্ত।
সূত্র আরও জানাচ্ছে, এই গুলির লড়াইয়ে ফুলকুমারি মাইতি, গনেশ আদক, ধীরেন সোরেন, প্রেমানন্দ গড়াই ও বাবলু পাত্র মারা যান। আরও একজনের নাম পাওয়া যায়নি। আহতদের মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও যৌথবাহিনী এসে পৌঁছলে গুলির লড়াই বন্ধ হয়।
সিপিএমের নেতা ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, মাওবাদীদের স্বার্থে গ্রাম থেকে ঘরছাড়াদের শিবির সরিয়ে নেবার জন্য তৃণমুলের প্ররোচনায় কমিটির লোকজন হামলা চালিয়েছে। আমাদের লোকজন বাধ্য হয়ে প্রতিরোধ করেছে। ঘটানায় আমাদের একজন মারা গেছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে, আহতও হয়েছেন অনেকে।
অন্য দিকে, আজ কলকাতায় তৃণমুল নেত্রী ও রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করে বলেন, শিবির থেকে বিনা প্ররোচনায় গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালিয়েছে সিপিএম। আমাদের ৫ জন সমর্থক এই ঘটনায় মারা গেছেন।
এদিকে, ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া ও রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এখন পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটানার প্রতিবাদে সোমবার কংগ্রেস ও এসইউসি দলের পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকা হয়েছে দুই মেদিনীপুর জেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১০