ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের ৫০তম বার্ষিকীতে তাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো দেশটির জনগণ। শুক্রবার বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কেনেডির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মার্কিন নাগরিকরা।
শুক্রবার দিনের প্রথম প্রহরে ওয়াশিংটন ডিসির কাছে আর্লিংটন জাতীয় সমাধিস্থলে কেনেডির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় কেনেডি পরিবারের শোকাহত সদস্যদের অশ্রুসিক্ত চোখ সমাধিস্থলে এক আবেঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে। পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা জানানোর পর বিভিন্ন স্তরের লোকজন কেনেডির সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে কেনেডি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। কেনেডির আত্মার সম্মানে মোমবাতি প্রজ্বলন ও ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হয়।
এছাড়া, হোয়াইট হাউস, ক্যাপিটলসহ সরকারি কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
এর আগে, বুধবারই কেনেডির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফার্স্ট লেডি মিশেল ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে নির্বাচিত হওয়া কেনেডি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট। ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাসে নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে যোগ দিতে মোটরগাড়িতে করে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় এক আততায়ী অতর্কিত কেনেডিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় কেনেডির মাথা ও ঘাড়ে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আধা ঘণ্টা পর মারা যান ১৯১৭ সালের ২৯ মে জন্মগ্রহণ করা এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ধারণা করা হয়, ডালাসের বহুতল গুদামখানা ‘টেক্সাস স্কুল বুক ডিপোজিটরি’ থেকে কেনেডিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। গুলি ছোঁড়ার পরই বুক ডিপোজিটরির কর্মচারী হার্ভে অসওয়াল্ডকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। দুই দিন পর ২৪ নভেম্বর অসওয়াল্ডকে গুলি করে হত্যা করেন জ্যাক রুবি নামে আরেক ব্যক্তি। তবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অসওয়াল্ড প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেননি।
কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পেছনে অসওয়াল্ড জড়িত ছিলেন নাকি আরও কেউ ছিলেন এ বিষয়টি এখনও অপরিষ্কার মার্কিনিদের কাছে। তবে হত্যাকাণ্ডের পর একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি জানিয়েছিল, অসওয়াল্ড একাই কেনেডিকে গুলি করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৩
এইচএ/