ঢাকা: সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বরখাস্ত সংসদ সদস্য কুণাল ঘোষ। শনিবার বিধাননগর দক্ষিণ থানায় দীর্ঘ জেরার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে শনিবার বিধাননগর দক্ষিণ থানায় বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধান অর্ণব ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন কুণাল। তিনি অর্ণব ঘোষের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানোসহ জোর করে সম্মতি আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ দেন।
কুণালের গ্রেফতার হওয়ার কয়েক মিনিট আগে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সারদা কেলেঙ্কারিতে সারদা গোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেন ছাড়াও আরও অনেকে যুক্ত থাকার সন্দেহে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ দাবি জানিয়ে কুণাল ঘোষও ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন ।
এ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার সন্দেহে সারদা গোষ্ঠীর আরেক প্রধান কর্মকর্তা সোমনাথ দত্তকেও সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এর আগে ঘোষ সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হলে অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন কুণাল।
গত সেপ্টেম্বরে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করে গ্রেফতার-আতঙ্কে ভুগছিলেন কুণাল। এমনকি খুন হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কাও করছিলেন তিনি।
কুণাল ঘোষের সাথে আরও তিন সাংসদ সোমেন মিত্র, তাপস পাল ও শতাব্দী রায়ও মমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
এর আগের মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে সারদা গোষ্ঠীর ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দেন সুদীপ্ত সেন। পরে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুণাল ঘোষও সারদা গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন।
দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখে কুণালকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধাচরণ করার কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। তাই দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৩
.jpg)
.jpg)
