ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রিটেনের সর্বত্র চলছে দাসত্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৩
ব্রিটেনের সর্বত্র চলছে দাসত্ব

ঢাকা: ব্রিটিনের সর্বত্রই বিরাজ করছে দাসত্ব। সাদা চোখে এটি ধরা পড়ে না।

রাস্তায়, দোকানে ও সুপারমার্টেকে পণ্য সরবরাহের কাজে, মাঠের কাজে, কারখানা, নখ পালিশের দোকানে, পতিতালয়ে, রাস্তার পাশে পর্দার পেছনে সবখানেই চলছে দাসত্ব। আর বর্তমানে যে আইন তা দিয়ে এটি বন্ধ করা কঠিন।

ব্রিটেনের সাধারণ কারও বক্তব্য নয় এটি। বলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে। টেলিগ্রাফে এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন এসব কথা।

ওই নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ইতিহাসের পাতায় থাকা দাসত্বের অস্তিত্ব আধুনিক ব্রিটেনের জন্য লজ্জাকর ও দুঃখজনক।

তিনি বলেছেন, সার্বিকভাবে অপরাধের মাত্রা কমলেও পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় দাসত্বের শিকারের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এটি এমন একটি অপরাধ যা ভুক্তভোগীর ওপর ভয়ানক ও কল্পনাহীন প্রভাব ফেলে।

থেরেসা মে বলেন, লন্ডনের ঘটনার বিষয়ে আমরা এখনও জানি না। বিস্তারিত এখন বের হচ্ছে। তদন্ত চলছে। কি বের হোক আর না হোক তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ঘটনাটি জনগণ ও গণমাধ্যমে সচেতনতা ছড়িয়েছে।

আধুনিক দাসত্ব বিলোপের উপায়ও ‍বাতলে দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এ জন্য প্রথমে আধুনিক দাসত্বের বিষয়টি স্বীকার করে নিতে হবে এবং এর মোকাবেলা করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে স্থায়ীভাবে এটিকে নির্মূল করা। কেননা আধুনিক দাসত্ব শুধু ভুক্তভোগীর সম্মান ও মানবতার প্রতি অপমানজনক নয়, এটা আমাদের সবার জন্য।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এই জঘন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের কাছে অগ্রাধিকারমূলক। ভুক্তভোগীদের চিহ্নিত ও সমর্থন দেওয়ার উপায়ের উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যতে দাসত্ব প্রতিরোধের চেষ্টা করব।
ব্রিটেনের সিরিয়াস অ্যান্ড ক্রাইম স্ট্রাটেজি এবং নব গঠিত জাতীয় অপরাধ সংস্থা (ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি) দাসত্বের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

দাসত্ব বিলোপ করতে নতুন আইন করতেও উদ্যোগ নিচ্ছেন থেরেসা মে। পার্লামেন্টে আধুনিক দাসত্ব বিলের প্রতি নিজের সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, বৈশিষ্ট্যগত কারণে এটি ইউরোপে দাসত্ববিরোধী প্রথম বিল হবে।

ব্রিক্সটনে ৩০ বছর ধরে দাস হিসেবে থাকা তিন নারীকে উদ্ধার করার বড় ব্রিটেনে দাসত্ব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। বাইরের বিশ্বে দেখার সুযোগ দেওয়া হতো না ওই তিন নারীকে। তাদের একজন মালয়েশিয়ান ( ৬৯), একজন আইরিশ (৫৭) ও একজন ব্রিটিশ (৩০)।

গত মাসে তাদের একজন সাহায্য চেয়ে একটি দাতব্য সংস্থায় ফোন করেন। ওই ফোনের সূত্র ধরেই সাউথ লন্ডনের একটি বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে  গ্রেফতার করা হলেও তারা এখন জামিনে মুক্ত আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।