ঢাকা: তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে বিশ্বশক্তি ৫+১’র (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি) সঙ্গে ইরানের ঐতিহাসিক সমঝোতা চুক্তির ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
হোয়াইট হাউস সূত্র জানিয়েছে, ক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ইরানের লাগাম টানতে পারায় নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই আলাপ করেন ওবামা।
হোয়াইট হাউসের উপ-মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একই লক্ষ্যের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন দুই নেতা।
ফোনালাপে ইরান ইস্যুতে সুদূরপ্রসারী সমাধানের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুর কাছে পরামর্শ চেয়েছেন ওবামা।
আর্নেস্ট বলেন, নেতানিয়াহুকে প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্পের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই দীর্ঘস্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও সমন্বিত সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবে পাওয়ার সিক্স।
এই চুক্তির ব্যাপারে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ’ রক্ষার ব্যাপারেও ঐকমত্য পোষণ করেছে ওবামা ও নেতানিয়াহু।
অবশ্য, চুক্তিতে পৌঁছানোর খবর পাওয়ার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বলে আখ্যা দেন।
রোববার ইসরায়েলি সরকারের মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, ইরান যেহেতু ইসরায়েল ধ্বংসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেহেতু ইসরায়েল নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ইরানকে কখনোই পরমাণু অস্ত্রধারী হতে দেবে না।
একইসঙ্গে এই চুক্তি ইসরায়েল মানতে বাধ্য নয় বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলি মনে করে থাকে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে ইরান। তবে তেহরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে বেসামরিক উদ্দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তারা।
উল্লেখ্য, অনেক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রোববার সকালে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছে বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয়টি দেশ।
এই চুক্তিকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৩