ঢাকা: থাইল্যান্ডে সরকারের পতনের ডাক দিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সোমবার দেশটির রাজধানীতে অবস্থতি অর্থ মন্ত্রণালয় ভবন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
গত মাস থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রবেশ করল বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বলছে, ক্ষমতাচ্যুত সাবক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার প্রভাব রয়েছে বর্তমার সরকারের ওপর। সরকারের পতন ঘটানোর মাধ্যমে সেই প্রভাবের সমাপ্তি টানতে চান তারা।
সোমবার শত শত বিক্ষোভকারী অর্থমন্ত্রণালয় চত্বরে প্রবেশ করে । অনেকে অর্থমন্ত্রণালয় ভবনের বারান্দায়ও অবস্থান নেন। অর্থ মন্ত্রণালয় ভবন চত্বরে বাজেট ব্যুরো অফিসও অবস্থিত।
ব্যাংককের ১৩টি স্থান থেকে বিক্ষোভকারীরা এসে মন্ত্রণালয় এলাকায় অবস্থান নেয়। মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর অর্থ মন্ত্রণালয় ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারীরা ভবন চত্বরে প্রবেশ করেছে।
সোমবার ব্যাংকক শহরে সরকারি অফিস, সেনা ও নৌ ঘাঁটি এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোর সামনে তিন হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়ে ‘চলে যাওয়া’ বলে স্লোগান দিয়েছে।
তবে বিক্ষোভকারীদের পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও থাকসিনের ছোট বোন ইংলাক শিনাওয়াত্রা। তিনি বলেছেন, পদত্যাগ বা পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। মন্ত্রিসভা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যদিও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। সবপক্ষই তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখিয়েছে; দেশের জন্য শান্তির পথ খুঁজে পেতে এখন তাদের প্রত্যেকে মুখোমুখি হওয়া উচিত এবং আলোচনা করা উচিত।
গত মাসে থাকসিনকে সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার জন্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে একটি বিল পাসের পর থেকেই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। অবশেষে বিরোধিতার মুখে উচ্চকক্ষে বিলটি প্রত্যাখ্যাত হয়। ওই বিলে ২০১০ সালে ‘রের্ড শার্টের’ সমর্থকের ওপর সামরিক অভিযানে ৯০ জনের নিহতের ঘটনায় দায়ীদেরও সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৩