ঢাকা: নিজের মেয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের এক দম্পতি। ২০০৮ সালে গৃহকর্মী হেমরাজ ও নিজের মেয়ে আরুশিকে হত্যা করেন নুপুর ও রাজেশ তালওয়ার।
উত্তর প্রদেশের ঘাজিয়াবাদের কারাগারে রয়েছেন দন্ত চিকিৎসক ওই দম্পতি। মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা দেবে আদালত।
সোমবার আদালতে রায়ে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করার সময় মূর্ছা যান নুপুর ও রাজেশ। তাদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, যে অপরাধ আমরা করিনি সেই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করায় আমরা খুবই হতাশ, বেদনাহত এবং উদ্বিগ্ন। আমরা পরাজিত হয়েছি এটি মনে করিনা এবং ন্যায় বিচারের জন্য আমরা এগিয়ে যাব।
তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন, অধঃস্তন আদালতের রায় হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন তারা।
মামলাটি নিয়ে বেশ বিব্রত কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ভারতে। হত্যাকাণ্ড তদন্তকারীরা স্বীকার করেছেন, তালওয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে কোনো ময়নাতদন্ত বা বস্তুগত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি ২০১০ এ বিচারের নিষ্পত্তির জন্য আবেদনও করেছিল তদন্তকারীরা।
কিন্তু বিচারক তদন্তকারীদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে দম্পতির বিচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুমান, গৃহকর্মী হেমরাজের সঙ্গে আরুশিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়ার পর বাবা-মায়ের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় খুন হতে পারেন তিনি।
সম্প্রতি ঘাজিয়াবাদের আদালতের বাইরে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজেশ তালওয়ার বলেন, ‘আমরা আরুশিকে ভালোবাসি, তাকে ছাড়া আমাদের জীবন নেই। এ দুঃস্বপ্নের শেষ নেই। ’
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো জানিয়েছে, এ মামলাটি হয়েছে ‘লাস্ট-সিন থিওরি’ (আরুশিকে শেষবারের মতো জীবিত অবস্থায় তালওয়ার দম্পতির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
২০০৮ সালের ১৬ মে রাজেশ পুলিশকে জানিয়েছিল, আরুশিকে তার বিছানায় মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
গৃহকর্মী হেমরাজ নিখোঁজ থাকায় তাকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে দায়ী করেন রাজেশ। তবে এর পরের দিনেই তালওয়ার দম্পতির বাড়ির ছাদ থেকে হেমরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৩