ঢাকা: ‘চোর হলেও তার নীতি ভালো’র মতোই টিপ্পনী কাটতে হবে প্রতিবেদনটি পড়ার পর! সত্যিই চীনের এক চোর চুরি করার পর পেশাদার নৈতিকতার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন!
সোমবার সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া নিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি বেইজিংয়ের বাসিন্দা জো বিন এক ব্যক্তির সঙ্গে ভাগাভাগি করে একটি ট্যাক্সিক্যাবে করে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যেই তার অ্যাপল হ্যান্ডসেটটি ‘নেই’ হয়ে যায়।
দামি স্মার্টফোনটি হারানোয় ভাগ্যকে দুষলেও তিনি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন ফোনটিতে থাকা তার ব্যবসায়িক অংশীদার, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের অন্তত এক হাজার সেল নাম্বার এবং অন্যান্য তথ্য-উপাত্তের জন্য। কারণ, স্মার্টফোনটির কোনো নাম্বার বা তথ্যই জো’র কাছে ব্যাকআপ করা ছিল না।
‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী’ প্রবাদটি জানা থাকলেও জো ইচ্ছে করলেন একবার শোনানোর চেষ্টা করা যাক। সেই ইচ্ছে থেকেই চুরি যাওয়া নিজের স্মার্টফোনের নাম্বারটিতেই মেসেজ পাঠান তিনি।
জো তার ক্ষুদে বার্তায় লেখেন, আমি নিশ্চিত আমার সঙ্গে ট্যাক্সি ভাগাভাগি করা আপনিই স্মার্টফোনটি চুরি করেছেন, আমি ইচ্ছে করলে আপনাকে খুঁজে বের করতেও পারবো, সেটা আপনি আমার নাম্বারগুলো দেখেই বুঝতে পারছেন। স্মার্টফোনটির নাম্বার ও তথ্য উপাত্তগুলো আমার খুব প্রয়োজন। আপনার যদি বিবেচনাবোধ থাকে তবে নাম্বারগুলো আমার নিচের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন।
ক্ষুদে বার্তার শেষাংশে নিজের কর্মস্থলের ঠিকানা দিয়ে দেন জো।
দিনকয়েক পর জো’কে বিস্মিত করে হ্যান্ডসেটে থাকা নাম্বারগুলো ১১টি পাতায় লিপিবদ্ধ করে সিমটি সহ একটি পার্সেল জো’র কর্মস্থলের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় ওই চোর।
জো বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ক্ষুদে বার্তা পাঠালাম আর তাতেই চোর সায় দিয়ে দিলো! অবাক করা ব্যাপার হলো নাম্বারগুলো বুঝতে যাতে আমার অসুবিধা না হয় সে জন্য খুবই যত্ন করে লাইনে লাইনে ফাঁক রেখে নামসহ সুন্দর করে লিখে পাঠিয়ে দিয়েছে ওই ভদ্র চোর!
ঘটনাটি দেশটির সামাজিক যোগাযোগের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়ার পর সিনা ওয়েইবো নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, কী সহানুভূতিশীল ও বিশ্বাসী চোর! লোকটি পেশাদার চোর হলেও নীতি ভালো!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৩