ঢাকা: থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রার সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সোমবার বিক্ষোভকারীরা দুটি মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ করলেও মঙ্গলবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা পর্যটন, পরিবহন ও কৃষি মন্ত্রণালয় ঘিরে ফেলেছে বিক্ষোভকারীরা। এর আগের দিন অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের অনেকে অর্থমন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নেন।
পর্যটন মন্ত্রী সোমসাক পুরিস্রিসাক বলেছেন, আমাদেরকে (মন্ত্রণালয়) ছাড়তে হবে কেননা বিক্ষোভকারীরা সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও কার্যালয় ছাড়তে এক ঘণ্টা সময় দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইংলাক শিনাওয়াত্রার ওপর তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
সোমবার কর্মকর্তাদের কারফিউ ও রাস্তা চলাচল সাময়িক নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ইংলাক সিনাওয়াত্রা বলেছেন, বিক্ষোভ দমনে তিনি সহিংসতার পথ বেছে নেবেন না।
পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সবপক্ষের সমঝোতা আসা ও আলোচনা করা উচিত।
গত মাসে বিতর্কিক সাধারণ ক্ষমা বিল আনার পর থেকেই শুরু হয় সরকারবিরোধী আন্দোলন। বিলটি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হলেও বিক্ষোভকারীদের বিরোধের মুখে উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রত্যাখ্যাত হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, ওই বিলের মাধ্যমে দুর্নীতির দায়ে জেলে না খেটই থাইল্যান্ডে ফিরে আসবেন থাকসিন।
২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে রয়েছেন থাকসিন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনজীবী সুথেপ থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা সারারাত ধরে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে শিবির গেড়ে অবস্থান নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৩