ঢাকা: ভয়াল ২৬/১১ মঙ্গলবার। ২০০৮ সালের আজকের এই দিনে ভারতের সবচেয়ে অভিজাত নগরী মুম্বাইয়ের পাঁচ তারকা বিশিষ্ট হোটেল তাজসহ ১২টি স্থানে পরিকল্পিতভাবে নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ে এবং বোমা হামলা চালিয়ে ১৫৬ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার সদস্য আজমল কাসাভ ও তার বাহিনী।
ভয়াবহ হামলার সেই ক্ষত, সেই রক্ত, সেই শোক পাঁচ বছর পরও মুছে যায়নি ভারতীয় নাগরিকদের মন থেকে- সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিপ্রিয় মানুষের মন থেকে।
মঙ্গলবার হোটেল তাজে হামলার শোক দিবস উপলক্ষে ফেসবুক থেকে শুরু করে সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে সবাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই ঘৃণা ঝেড়েছেন, কামনা করেছেন শান্তি।
সবাই বলছেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ পদদলিত করে এগিয়ে যাক মানবতার বিশ্ব।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই হোটেল তাজ ও মুম্বাইয়ের অন্যান্যস্থলে হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চোখের জলে নিকটজনদের স্মরণ করেন নিহতদের স্বজনরা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী আজমল কাসাভ সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়ে হোটেল তাজ ও মুম্বাইয়ের নিরীহ মানুষজনের ওপর। তিন দিন ধরে সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলি ও বোমাবাজিতে প্রাণ হারান ১৫৬ জন মানুষ। সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে নিহত হয় ১০ হামলাকারীও। এই হামলায় আহত হন আরও অন্তত ৬০০ জন।
অনেক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয় একমাত্র জীবিত সন্ত্রাসী আজমল কাসাভ।
আটক কাসাভকে গণহত্যা, নির্যাতনসহ ৮৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১০ সালের ৬ মে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর পুনের ইয়ারদা জেলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় কাসাভের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৩