ঢাকা: ভারতের দিল্লির কাছে নইদায় নিজের মেয়ে ও গৃহকর্মী হত্যার দায়ে দোষী সাবস্ত বাবা-মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার যাবজ্জীবন দেওয়ার আগে সোমবার নুপুর ও রাজেশ তালওয়ারকে মেয়ে আরুশি ও গৃহকর্মী হেমরাজ হত্যায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
একই সঙ্গে হত্যার প্রমাণ নষ্ট করার জন্য পাঁচ বছর এবং মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার অপরাধে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তালওয়ার দম্পত্তিকে।
হত্যা মামলার তদন্তকারী ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই তালওয়ার দম্পতির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল।
সোমবার আদালত ঘোষণা দেয়, ২০০৮ সালে নিজের অ্যাপার্মেন্টে ১৩ বছর বয়সী মেয়ে আরুশিকে গৃহকর্মী হেমরাজের সঙ্গে ‘আপত্তিজনক অবস্থায়’ দেখতে পাওয়া ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের দুজনকে খুন করেন তালওয়ার দম্পতি।
দন্ত চিকিৎসক এ দম্পতি মামলার তদন্তকে সাজানো বলে অভিযোগ করেছেন। তালওয়ার দম্পতির সমর্থকরা মিডিয়াকে দুষছেন হত্যার এ খবর ফুলিয়ে-ফাপিয়ে প্রচার করার জন্য।
উচ্চ আদালতের নিজের বিরুদ্ধে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করবেন তালওয়ার দম্পতি। সোমবার দোষী সাব্যস্ত করার পরেই তাদের আইনজীবী জানান, অধ্বঃস্তন আদালতের রায় হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন তারা।
সোমবার রাজেশ ও নুপুরের পক্ষে দেওয়া বিবৃতি বলা হয়, ‘যে অপরাধ আমরা করিনি, সেই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করায় আমরা হতাশ, বেদনাহত এবং উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করিনা, আমরা পরাজিত হয়েছি। আমরা ন্যায় বিচারের জন্য এগিয়ে যাব। ’
২০০৮ সালের মে মাসের ১৬ তারিখে পুলিশের কাছে আরুশির বাবা রাজেশ অভিযোগ করেন, মেয়ে আরুশিকে তারা বিছানায় মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়েছে। গৃহকর্মী হেমরাজ নিখোঁজ তাকায় তাকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করে অভিযোগ দায়ের করেন রাজেশ।
কিন্তু অভিযোগ দায়েরের একদিন পরেই রাজেশের বাড়ির ছাঁদ থেকে হেমরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর সাতদিনের মধ্যে রাজেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কোনো তথ্য-প্রমাণাদি না থাকায়, লাস্ট সিন (বাবা-মায়ের সঙ্গে আরুশিকে শেষবারের মতো জীবিত দেখা গেছে) তত্ত্বের ভিত্তিতে তালওয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৩