ঢাকা: নারী সহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ সাময়িকী তেহেলকা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তরুণ তেজপালের গ্রেফতারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তার করা আবেদন বুধবার আবারও প্রত্যাখ্যান করেছেন দিল্লির হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগাম জামিনের বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আদালত।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় গোয়া পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে ওই ঘটনার জবানবন্দি দিতে ৫০ বছর বয়সী তেজপালকে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, মঙ্গলবার গোয়া পুলিশের কাছে নির্যাতিত ওই নারী সাংবাদিক ঘটনার পূর্ণ বিবরণ দেন (রেকর্ড স্ট্যাটমেন্ট)। বুধবারও ঘটনার বিবরণ আদালতে উপস্থাপন করেন তিনি।
গোয়া পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই নারী সহকর্মীর বিবরণগুলো শুনিয়ে বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে তেজপালের কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, যেহেতু তেজপাল নিজেই নারী সহকর্মীর কাছে পাঠানো ইমেইলেই অপরাধ স্বীকার করেছেন সেহেতু তার বিরুদ্ধে ‘স্পষ্ট’ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, নারী সহকর্মীর কাছে পাঠানো ইমেইলে ‘অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর’ কথা স্বীকার করেন তেজপাল। অবশ্য, নারী সাংবাদিক দাবি করেছেন, তেজপাল ‘যৌন নির্যাতনই’ চালিয়েছেন তার ওপর।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, স্পষ্ট মামলা বলে ‘ধর্ষণ’ মামলাই বুঝিয়ে থাকতে পারে পুলিশ। যদি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয় তবে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে পারেন ভারতের প্রভাবশালী সাংবাদিক তেজপাল।
এদিকে, গোয়া পুলিশ অভিযোগ করেছে, তেজপালের পরিবারের একজন সদস্য মঙ্গলবার ওই নারী সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ‘একসঙ্গে আলোচনায় বসে বিষয়টি মীমাংসা করার’ প্রস্তাব দিয়েছেন।
বুধবার ওই নারী সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, তাকে ভয় দেখানোর জন্য মায়ের কাছে এসেছে তেজপালের লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নারী সাংবাদিকের মা।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দেড়েক আগে তেজপালের বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। প্রথম দিকে আভ্যন্তরীণভাবে ইমেইল চালাচালিতে এই খবর সীমাবদ্ধ থাকলেও তেহেলকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সোমা চৌধুরীর কাছে পাঠানো ওই নারী সাংবাদিকের অভিযোগ দিয়ে এ ঘটনা ফাঁস হতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৩