তেহরান: তিউনিসিয়া, মিশর, বাহরাইনের পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্দানের রাজতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। সংবিধান ও সেই সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী যাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক ছাত্ররাও ছিলেন বুধবার রাস্তায় নেমে আসেন।
বুধবার জর্দানের শত শত বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র রাজধানী আম্মানের জড়ো হন। তারা সত্যিকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি করেন।
এসব দাবিতে বিক্ষোভকারীরা রাজপ্রাসাদের বাইরে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ‘জনগণ তাদের নিজস্ব সরকার গঠন করতে চায়’ এবং ‘সংবিধান দিয়েই সংস্কার শুরু হবে’ সম্বলিত ব্যানার বহন করেন। ইরানের প্রেস টিভি এ প্রতিবদেনটি প্রকাশ করেছে।
রাজধানী ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ইরবিদেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। একই ভাবে এখানেও তারা রাজনৈতিক সংস্কার এবং সরকারি দুর্নীতি জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান।
ট্রেড ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং নারীবাদী সংগঠনগুলোর সদস্যরা বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিলে দারিদ্র্য, নিপীড়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়।
১৯৫২ সালে লিখিত সংবিধানে রাজার হাতে অত্যধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি চাইলেই যে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করতে অথবা বরখাস্ত করতে পারেন।
পারস্য উপসাগরীয় দেশটিতে সম্প্রতি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি এবং চলমান রাজনীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে।
জনগণের অসন্তোষের অন্যতম একটি কারণ হলো- ১৯৮০ সালে জর্দানি আদিবাসীদের কৃষিজমি অধিগ্রহণ।
বানি শখর নামে এক আদিবাসী জানান, আম্মান বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য সরকার তাদের ২ হাজর ২০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১১