ঢাকা: সেনাবাহিনীর পরবর্তী প্রধান নিয়োগে প্রক্রিয়া শুরু করতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ‘এগিয়ে যাওয়া’র সংকেত দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আপত্তির মুখে সৃষ্ট বিতর্কের মধ্যেই এ ‘হ্যাঁ’ সূচক সংকেত দিল ইসি।
সূত্র জানায়, সোমবার সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ইসির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ২৭ মার্চ জারি করা একটি আদেশের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলা হয়, কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী এ নির্বাচনের মতো অন্য যে কোনো নির্বাচন চলাকালেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়োগ, পদোন্নতি, দরপত্র জারি ও যে কোনো রকমের লেনদেন নির্বাচনের আওতাভুক্ত নয়।
বিজেপির আপত্তির মুখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ইসির নির্দেশনামা চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার চাইলে তারা পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগে এগিয়ে যেতে পারে।
পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগে সরকার উঠে পড়ে লেগেছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে আপত্তি উঠলেও ২৭ মার্চের আদেশনামার আলোকে নির্বাচন কমিশন এই মতামত দিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সেনাপ্রধান নিয়োগের ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে আপত্তির মুখে গত সপ্তাহে ইসি বরাবর নির্দেশনামা চেয়ে আবেদন করে সরকার। লিখিত ওই আবেদনে বলা হয়, ইসির ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আমলে সেনাপ্রধান নিয়োগের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে বিজেপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনই এ নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই, সেনাপ্রধান নিয়োগ পরবর্তী সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হয়ে ওঠা দেশটির নয়া সেনাপ্রধান পদে নিয়োগ পাওয়ার দৌঁড়ে সর্বাগ্রে রয়েছেন বর্তমান উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল দালবির সিং সোহাগ।
৩১ জুলাই অবসর নেবেন অন্তর্বর্তী সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং। রেওয়াজ অনুযায়ী তার অবসরের দুই মাস আগেই উত্তরসূরী নিয়োগ দেওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৪