ঢাকা: ধারণা রয়েছে, লম্বা মানেই হ্যান্ডসাম। তবে যারা অপেক্ষাকৃত কম লম্বা বলে হীনম্মন্যতায় ভোগেন তাদের জন্য সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণা নিয়ে এসেছে সুসংবাদ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ ফুট ২ ইঞ্চি বা তার চেয়ে কম লম্বা পুরুষরা দীর্ঘ দিন বাঁচেন।
জার্নাল প্লস ওয়ান এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আট হাজার পুরুষের ওপর করা এই গবেষণা শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, খাটো পুরুষের শরীরে FOXO3 নামে এক ধরনের জিনের সন্ধান যাওয়া গেছে, যা দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই প্রথম দেহের আকৃতির সঙ্গে FOXO3 জিনের সম্পর্ক পাওয়া গেল।
একইসঙ্গে খাটো পুরুষদের শরীরে ইনস্যুলিনের মাত্রা কম থাকে এবং তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও কম বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রাডলি উইলকক্স জানান, ৫ ফুট ২ ইঞ্চি বা তার কম এবং ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি বা তার বেশি এ দুই দলে ভাগ করে ১৯০০ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া আট হাজার আমেরিকান পুরুষের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়।
এক বছর ধরে দুই দলের জীবনযাপন এবং শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। এসময় তারা সুনির্দিষ্ট না হলেও দীর্ঘায়ু এবং উচ্চতার সঙ্গে একটি সম্পর্ক পান।
তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি কতটা লম্বা তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি কতটা সুস্থতার সঙ্গে জীবন-যাপন করছেন।
গবেষণায় অংশগ্রণকারীদের মধ্যে প্রায় ১২০০ জন ৯০ থেকে ১০০ বছর সুস্থ জীবন যাপন করেছেন। আবার এদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন এখনও জীবিত রয়েছেন।
২০১২ সালে পরিচালিত অপর এক গবেষণায়ও একই চিত্র ফুটে ওঠে।
১৮৬৬ থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া ইতালির পুরুষদের ওপর পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে, খাটো মানুষ লম্বা মানুষের চেয়ে অন্তত দুই বছর বেশি বাঁচেন।
বিষয়টি কেবল মানুষই নয়, খাটো ইঁদুর, বানরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
এমনকি আফ্রিকার দীর্ঘদেহী হাতির চেয়ে এশিয়ার খাটো হাতি দীর্ঘ দিন বাঁচে বলেও জানানো হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৪