ঢাকা: পশ্চিম তুরস্কে খনি বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০১ জনে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো ৮০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার জিএমটি সময় সাড়ে ১২টায় ইলেক্ট্রিক্যাল ত্রুটির কারণে পশ্চিম তুরস্কের মানিসা প্রদেশের সোমা কয়লা খনিতে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাথমিকভাবে ১৭ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
পরে এ সংখ্যা বেড়ে ২০১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী টানের ইলদিজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সময় কয়লাখনিতে মোট ৭৮৭ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। বর্তমান মৃতের সংখ্যা ২০১ জন এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, এ কয়লা খনিটি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে।
এদিকে, খনি-শ্রমিকদের উদ্বিগ্ন স্বজনেরা ইতোমধ্যে খনি এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন।
জ্বালানিমন্ত্রী জানান, খনিতে বর্তমানে শতাধিক শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, খনির ভেতরে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের সৃষ্টি হওয়ার কারণে শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে। যারা আটকা পড়ে আছেন, পাম্প করে তাদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
জ্বালানিমন্ত্রী টানের ইলদিজ আরো বলেন, খনির বিস্ফোরণটি ছিল একটি দুর্ঘটনা।
তিনি জানান, যখন বিস্ফোরণটি ঘটে, তখন শ্রমিকরা দুই কিলোমিটার মাটির গভীরে এবং খনি মুখ থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে দেশটির সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৯৯২ সালে। এ সময় কৃষ্ণ সাগরের জঙ্গুলডাক খনি দুর্ঘটনায় ২৭০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৪