ঢাকা: ক্রমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে থাইল্যান্ডে। বৃহস্পতিবারও রাজধানী ব্যাংককে অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধীদের ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই সেনাবাহিনীর প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সহিংসতা অব্যাহত থাকলে ‘ফোর্স’ ব্যবহার করবে সশস্ত্র বাহিনী।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার রাজধানী ব্যাংককের ডেমোক্রেসি মন্যুমেন্টে স্থাপিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্পে বিস্ফোরণ ও গুলি নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়।
কারা এ হামলায় জড়িত এ ব্যাপারে কিছু স্পষ্ট না হলেও সরকারবিরোধীদের দাবি লাল শার্টধারী সরকারপন্থিরাই এ হামলা চালিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল প্রায়ুথ চ্যান-ওচা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি সহিংসতা অব্যাহত থাকে তবে শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর বাইরে আসা প্রয়োজন...।
যদিও সেনা অভ্যুত্থান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সমাধান করবে না বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে কোনো ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা আমলে নিচ্ছেন না দেশটিতে নিযুক্ত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
পেউ থাই পার্টির নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি জনপরিষদ দেশ পরিচালনায় নিয়োগ করতে সংসদকে চাপ দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
সম্প্রতি ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে আদালতের নির্দেশে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ইংলাক তার ভাই থাকসিনকে দুর্নীতির দায় থেকে বাঁচাতে এবং তার পরামর্শে রাষ্ট্র চালাচ্ছেন অভিযোগ করে গত অক্টোবর থেকে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু করে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ইংলাক। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে প্রধান বিরোধী দল অভিজিৎ ভেজাজিভার নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক পার্টিও নির্বাচন বর্জন করে।
নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণে বুধবার নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা এ নিয়ে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা স্থগিত করা হয়। স্পষ্টতই তাই থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক সঙ্কট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৪