ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুর্ঘটনায় আবারো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৪
দুর্ঘটনায় আবারো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আবারো কোনো দুর্ঘটনার কারণে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরের শিরোনামে হয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সুরেশ্বর যাওয়ার সময় মেঘনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় এমভি মিরাজ-৪।

লঞ্চটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিল। এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৩৫ জন। বাকিরা নিখোঁজ।

কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরি ডুবি, আফগানিস্তানে পাহাড় ধস ও সর্বশেষ তুরস্কে খনি বিস্ফোরণের ঘটনার মতোই গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের লঞ্চ ডুবির সংবাদটি প্রচার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া ব্রেকিং নিউজে জানায়, বাংলাদেশে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবি, উদ্ধার আট, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

বিবিসি অনলাইন জানায়, ঢাকার নিকটে মেঘনা নদীতে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবি। শিশু নারীসহ ৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

একটি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইকৃত লঞ্চের ফাইল ছবি দিয়ে ইয়াহু নিউজ ২০০ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় লঞ্চ ডুবির কথা জানায়।

যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বাংলাদেশে ২০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবি, ছয় মৃতদেহ উদ্ধার।

আল-জাজিরা জানায়, ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশে ফেরি ডুবি, দশটি মৃতদেহ উদ্ধার।

পাকিস্তানের ডন জানায়, বাংলাদেশে ২০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবিতে ছয় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশে ফেরি ডুবিতে নয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া শিনহুয়া, নিউইয়র্ক টাইমস, গ্লোবালপোস্ট, টাইম, দ্য ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস, স্কাই নিউজ, টেলিগ্রাফ, ইনডিপেনডেন্ট, এনবিসি নিউজ, ফক্স নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশে লঞ্চ ডুবির সংবাদ প্রচার করেছে।

এর আগে রানা প্লাজা ধস, তাজরিনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া প্রায় প্রতিবছরই লঞ্চ ডুবির কারণে খবরে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তার সঙ্গে যোগ হলো সর্বশেষটি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।