‘অসদাচরণের কারণেই’ বরখাস্ত করা হয়েছে জিল অ্যাব্রামসনকে। লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়ে তার প্রতিবাদ করায় নিউইয়র্ক টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক অ্যাব্রামসন চাকরি হারিয়েছেন এমন খবর চাউর হবার পর এবার মুখ খুললেন বিশ্বখ্যাত সংবাদপত্রটির চেয়ারম্যান আর্থার শুলজবার্গার নিজেই।
তিনি বলেছেন, অ্যাব্রামসন তার সহকর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত অসদাচরণ করতেন। সবার সামনে অপদস্থ করতেন। এমন অভিযোগ ছিলো সংবাদপত্রটির পুরুষ-নারী সকল কর্মীরই।
শুলজবার্গার এক বিবৃতিতে বলেন, অ্যাব্রামসনের বিরুদ্ধে বার্তাকক্ষের সহকর্মীদের অংসখ্য অভিযোগ আমি শুনেছি। তারা বলতেন অ্যাব্রামসন একাই সিদ্ধান্ত নিতেন এবং চাপিয়ে দিতেন।
শুলজবার্গার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি অনেকবারই জিলের সঙ্গে কথা বলি, সতর্ক করি এসবের মধ্য দিয়ে তিনি নিউজরুম এবং কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষেরই আস্থা হারাচ্ছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, অ্যাব্রামসন সম্প্রতি জানতে পেরেছেন তাকে তার পূর্বসূরী বিল কেলারের চেয়ে কম বেতন দেওয়া হতো। বিষয়টি নিয়ে তিনি শুলজবার্গারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান। এবং এরই জের ধরে গত ১৪ মে তিন বছর ধরে দায়িত্ব পালন করার পর পত্রিকাটির সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অ্যাব্রামসনকে।
নিউইয়র্কারের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম বিশ্লেষক কেন অলেটা এক রিপোর্টে অ্যাব্রামসনের অভিযোগগুলোকে সামনে আনেন।
শুলজবার্গার তার বিবৃতিতে অ্যাব্রামসনের আনা বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি স্রেফ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি।
অ্যাব্রামসন নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম নারী নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডিন বাকেট। তিনি প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে পত্রিকাটির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ পেলেন।
বাংলাদেশ সময় ১০৩৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪