ঢাকা: মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ উড়োজাহাজ এমএইচ-৩৭০ কোথায় তা আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং উড়োজাহাজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং করপোরেশন জানে বলে দাবি করলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
এছাড়া নিখোঁজ উড়োজাহাজটির সন্ধানে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকূলে বৃথাই সময় নষ্ট করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মূল ঘটনা আড়াল করার জন্যই অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে নিখোঁজ প্লেনটির সন্ধানে অনুসন্ধান নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. মাহাথির তার ব্যক্তিগত ব্লগে সোমবার এ দাবি করেন।
‘হোয়াট গোজ আপ, মাস্ট কাম ডাউন’ শিরোনামের এ লেখায় তিনি দাবি করেন, যদি বিমানটি ছিনতাই হতো, তাহলে সিআইএ অথবা এর মতো সংস্থাগুলো এটি জানতে পারতো। তাদের সে ধরনের প্রযুক্তি ও কলাকৌশল জানা আছে। আর বর্তমান পৃথিবীতে আধুনিক রাডার, স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের আওতার বাইরে যাওয়ার সাধ্য বোয়িংয়ের ওই অত্যাধুনিক ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজের নেই। এছাড়া উড়োজাহাজটিকে সন্ত্রাসীরা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলেই ছিনতাই ঠেকাতে এতে বসানো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে তা সঙ্গে সঙ্গেই জানতো পারতো সিআইএ বা বোয়িং করপোরেশন।
তিনি বলেন, কেউ হয়তো কিছু লুকাচ্ছে। উড়োজাহাজটি খোঁজার নামে মূল গতিপথ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে উড়োজাহাজ খোঁজার যে অভিযান, তা এরই অংশ এবং অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র।
মাহাথির মোহাম্মদ এমন এক সময়ে এ দাবি করলেন যখন অ্যাংলো-আমেরিকান লেখক ও সাংবাদিক নাইজেল কওথোর্ন তার সদ্য প্রকাশিত বইয়ে দাবি করেছেন যে মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হয়নি। বরং থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার সময় ভুলবশত উড়োজাহাজটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
উড়োজাহাজের রুটে একই সময় চলছিলো এই মহড়া। তবে কেলেঙ্কারি চাপা দিতে তড়িঘড়ি করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ সাগর বক্ষ থেকে সরিয়ে ফেলে। পাশাপাশি বিষয়টি অন্য দিকে ঘোরাতে সংবাদ মাধ্যমে জন্ম দেয়া হয় একের পর এক আজগুবি কাহিনীর।
বইটির তথ্য ইতোমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তার ওপর মাহাথির মোহাম্মদের সন্দেহ বিষয়টিকে যে আরও জোরালো করে তুলবে তা বলাইবাহুল্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৪