ঢাকা: প্রতিবেদনের ছবি দেখে অবাক হয়ে ভাবছেন, এ কি সত্যিই মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট? সংবাদ মাধ্যমগুলো আপনাকে জবাব দিচ্ছে, ‘হ্যাঁ’ ইনি ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদই, পাবলিক বাসের যাত্রী, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে!
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য ব্লেজসহ বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্বের একসময়কার অন্যতম প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট তার আসল পেশা শিক্ষকতায় ফিরে গেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী আহমাদিনেজাদ এখন পুরোদস্তুর শিক্ষক।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুধু শিক্ষকতায়ই ফেরেননি, ইরানের সাবেক স্পষ্টভাষী প্রেসিডেন্ট এখন তার কর্মস্থল তেহরানের নারমাকের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অধ্যাপনায় যেতে পাবলিক বাসে চড়েন! তা-ও আবার সিট নির্ধারিত নয়, কখনো দাঁড়িয়ে, সুযোগ পেলে তবেই সিটে চড়ে!
অবাক করা ব্যাপার, সাবেক প্রেসিডেন্ট যেমন পাবলিক বাসে চড়তে একটু অস্বস্তিতে ভোগেন না, তেমনি তার সহকর্মী-সহযাত্রীদেরও দেখা যায় একেবারে স্বচ্ছন্দ।
১৯৫৬ সালের ২৮ অক্টোবর আরাদানে জন্ম নেন আহমাদিনেজাদ। শৈশব থেকেই রক্ষণশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠা আহমাদিনেজাদ ১৯৭৯ সালে দেশটিতে সংগঠিত ইসলামী বিপ্লবের সময় অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন।
২০০৫ সালের ৩ আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা দু’দফায় দায়িত্ব পালন করেন অ্যালায়েন্স অব বিল্ডার্স দলের এ রাজনীতিক। এর আগে, তেহরানের মেয়র ছিলেন তিনি।
আহমাদিনেজাদ যেমন রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলোচিত ছিলেন, তেমনি পশ্চিমা ও ইহুদীবিরোধী আগ্রাসী অবস্থানের জন্য কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোর প্রিয়জন ছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে তেহরানের পরমাণু চুল্লিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখার জন্য বেশ ক’বার পারস্য উপসাগরে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়।
তবে, ইহুদী ও পশ্চিমাদের কাছে ‘অপছন্দের’ এ প্রেসিডেন্ট দেশটির সাধারণ জনগণের কাছে আস্থার মানুষ ছিলেন! রক্ষণশীল হয়েও স্বচ্ছ ও সরল জীবন যাপনের জন্যই তিনি টানা দু’দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।
এর আগে, মেঝেতে মাদুর পেতে নামাজ পড়া ও ঘুমানোর ছবি প্রকাশ হওয়ার পর আহমাদিনেজাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৪