ঢাকা: ক্রমশ পরিবেশ দূষণ ও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী সুপেয় পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশ্বের অনেক অঞ্চলে কেবল সুপেয় পানির অভাবেই মরণব্যাধি মহামারিতে রূপ নেয়।
তারা বলছেন, এমন এক পদ্ধতি তারা আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে গোবর অর্থাৎ জৈব সার থেকেই সুপেয় পানি উৎপাদন করা যাবে। এর সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন তারা।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিফ স্যাফারম্যানের নেতৃত্বাধীন একটি দল এ গবেষণার ফলাফল পাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা দাবি করছেন, একটি কার্যকর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গরুর গোবর শোধন করে সুপেয় পানি উৎপাদনের পদ্ধতি পুরোদমে চালুর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
স্যাফারম্যান বলেন, আমাদের আবিষ্কৃত বিশেষ প্রক্রিয়া (অ্যানারোবিক ডাইজেস্টার) গোবর থেকে অ্যামোনিয়ার (হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন গ্যাসের মিলনে গ্যাসীয়) মতো ক্ষতিকর যৌগ নিঃসরণ করে করে এটিকে স্বচ্ছ ও পানযোগ্য করে তুলবে।
তিনি বলেন, কারও একহাজার গরু থাকলে তিনি এক কোটি গ্যালন (তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৪ হাজার লিটার) গোবর পাবেন প্রতিবছর। এসব গোবরের ৯০ শতাংশই পানি। কিন্তু তাতে অনেক বেশি পরিমাণ পুষ্টি, কার্বন এবং প্যাথোজেন (একধরণের জীবাণু) থাকে বিধায় সেটি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে পরিবেশে প্রভাব ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
গবেষকরা বলেন, যেহেতু কলের পানির স্থলাভিষিক্ত গরুর জুসের হওয়ার সম্ভাবনা শিগগির দেখা যাচ্ছে না, তাই নতুন প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত পানিই হতে পারে পশুসম্পদের আদর্শ পানীয়ের উৎস। অন্তত যেসব গরুর খামার বা পশুর খামারে পানি ব্যয়বহুল পণ্য হিসেবে বিবেচিত তাদের জন্য এ প্রক্রিয়া আশীর্বাদ হয়ে উঠবে।
গবেষণা দলটি বিশ্বাস করে, তাদের আবিষ্কৃত এ পদ্ধতিতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিদিন ৮৭০ মিলিয়ন গ্যালন সুপেয় পানি উৎপাদন করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৪