ঢাকা: ব্রাজিলের সাও পাওলোতে পরিবহন ধর্মঘটীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার ও লাঠিচার্জ করেছে।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাও পাওলোর শ্রমিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রাখে, যাদের দাবি অন্তত দুই ডিজিট বা ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করার।
প্রথম দিন ধর্মঘটের পর সরকার পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা বসলেও কোনো আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। ফলে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার মাত্র ছয়দিন আগে এ পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে ব্রাজিল সরকার বেশ চাপের মুখেই আছে।
আর আগামী ১২ জুন সাও পাওলো স্টেডিয়ামেই ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে স্বাগতিকদের খেলার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। যা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এর পরের মাসের একই তারিখের রিও দে জেনেরো স্টেডিয়ামে।
বিবিসির সংবাদদাতা কেটি ওয়াটসন সাও পাওলো থেকে জানাচ্ছেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাও পাওলো অর্ধেকের বেশি স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় এই শহরের রাস্তা থমকে দাঁড়ায়।
এই অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার বিকালেই সাও পাওলোর মরুম্বি স্টেডিয়ামে ব্রাজিল ও সাবিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ হয়ে গেছে। যেখানে প্রায় ৬০ হাজার দর্শক এ খেলা উপভোগ করেছে। যাদের অনেকের হাতেই ছিল, ‘হ্যাঁ, বিশ্বকাপ হতে চলেছে’ অনুপ্রেরণামূলক লেখা।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও আর পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সরকার বেশ চাপে থাকলেও ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি দিলমা রোউসেফ শুক্রবারই সাংবাদিকদের বলেছেন, তার দেশ বিশ্বকাপের জন্য পুরো প্রস্তুত।
বিশ্বকাপের খরচের বহর নিয়েই মূলত বিক্ষোভের সূচনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক প্রাক্তণ বিশ্বখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারও। তাদের দাবি, বিপুল খরচের বিশ্বকাপের পাশাপাশি ব্রাজিলের দরিদ্র মানুষের কথাও ভাবতে হবে সরকারকে।
তবে এই বিক্ষোভ চলতি বিশ্বকাপ নিয়ে ব্রাজিল কর্তৃপক্ষকে ভাবালেও, তাদের ভাবনার আরো জায়গা দখল করে আছে ২০১৬ সালে রিও দে জেনেরোর অলিম্পিক।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৪