ঢাকা: কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে স্ত্রীকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যা করলেন তুরস্কের এক ব্যক্তি। দেশটির ‘দ্য ভাটান’ পত্রিকার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, হত্যা করার জন্য স্ত্রীর বিছানায় বালিশের প্রান্তে চিবুক বরাবর নিচে লাইভ ইলেকট্রিক ক্যাবল বসিয়ে দেন ২৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি।
এ হত্যাকাণ্ডের ঠিক একদিন আগেই তার স্ত্রী দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ডিয়ারবাকি রাজ্যে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার সময় ওই ব্যক্তি নিজেই পুলিশকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। ভাটান পত্রিকার মূল পাতায় সেই কথোপকথন বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।
যুবক: আমি একজনকে হত্যা করেছি।
পুলিশ: তুমি কাকে খুন করেছ?
যুবক: এখন আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করছি।
পুলিশ: তুমি কি তাকে মেরে ফেলেছ, নাকি মারছ?
যুবক: এখনো সে মারা যায়নি। তবে এই হত্যা হালাল হলে আমি তাকে হত্যা করছি।
এরপর পুলিশ কর্মকর্তা ফোনে জানতে চান স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা। উত্তরে যুবক বলেন, ‘আমি বলছি, আমি তাকে হত্যা করছি। তারপরও তুমি জানতে চাইছো আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে কিনা?’
যুবক বলতেই থাকেন, ‘সে মৃত্যুযন্ত্রণায় চিত্কার করছে। মুখ বন্ধ করে রেখেছি। ’
এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আচ্ছা, অপেক্ষা কর। পুলিশের একটি টিম পাঠাচ্ছি। ’
বুধবার আসামি ওই যুবকের আইনজীবী শুনানিকালে আদালতকে বলেন, তাঁর মক্কেল স্ত্রীকে খুন করেছেন, কারণ তার স্ত্রী দ্বিতীয়বারের মতো কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন।
খুনি ব্যক্তি দেশটির কুর্দি অধ্যুষিত একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টের ওয়েটার। তিনি আগে থেকেই চার বছর বয়সী এক সন্তানের জনক।
তুরস্কের পারিবারিক নির্যাতন কতটা ভয়াবহ তা এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়। রাজধানী আঙ্কারাভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে বলা হয়, গতবছর নির্যাতনে ২১৪ নারী ও ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ ভাগ নারীকে শুধুমাত্র ডিভোর্স চাওয়ায় হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৪