ঢাকা: রাজধানী বাগদাদ অভিমুখে সুন্নি বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইরাকি বাহিনী। সুন্নি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের সহায়তা করে শিয়া এবং কুর্দি মিলিশিয়ারা।
পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শহর থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইরাকি বাহিনী। তবে তিকরিত ও মসুল যথারীতি বিদ্রোহীদের দখলে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোববার সামারা শহরে সমবেত হতে শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পারস্য উপসাগরে একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, চরমপন্থি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মার্কিন উদ্যোগ ততক্ষণ পর্যন্ত সফল হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত ইরাকি নেতারা তাদের মতভেদ দূর করতে পারবে।
এদিকে রোববার ভোরেও বাগদারের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় বাকুবা শহরের একটি সেনা নিয়োগ কেন্দ্রে মর্টার হামলায় তিন ইরাকি সেনা এবং তিনজন শিয়া মিলিশিয়া মারা গেছেন। এছাড়া ইরাকি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জালালা শহরে সাতজন সরকারপন্থি কুর্দি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ভুলবশত এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ।
ইরাকের চরমপন্থি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড ল্যাভেন্টের ব্যানারে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে সুন্নি বিদ্রোহীরা। শিয়া প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির সরকারের বিরুদ্ধে দমন পীড়নের দাবি করে ইরাকের সংখ্যালঘু সুন্নিরা।
এদিকে সুন্নি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে শিয়াদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্রান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল সিস্তানি। ইতোমধ্যে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীতে নাম লিখিয়েছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন তার দেশ ইরাককে সহায়তা করবে। ইতোমধ্যেই ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট ইরাকে পৌঁছেছে। তারা স্থানীয় শিয়া যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৪