ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি হামলা

গাজায় পঞ্চম দিনে নিহতের সংখ্যা ১১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৪
গাজায় পঞ্চম দিনে নিহতের সংখ্যা ১১৮

ঢাকা: ইসরাইল শনিবার সকাল থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে। এদিন নিহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৩ জন।

এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে ‘অপারেশন প্রটেকটিভ এজ’ নামে এই ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৮ জনে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় মুখপাত্র আশরাফ আল-কাদরি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে জানান, গাজা শহরের উত্তরের বিয়েত লাহিয়া এলাকায় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছে এমন একটি চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে বিমান হামলায় দুইজন এবং একই সময়ে শহরের পশ্চিমে দ্বিতীয় একটি হামলায় আরো তিনজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়াও বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার উত্তরের জাবেলিয়া এবং দক্ষিণের দিয়ার এল বালাহ এলাকায় আরো আটজনের মৃত্যু হয়।

খুব সকাল থেকেই গাজার মসজিদ ও হামাস নেতাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু হয়, যোগ করেন আশরাফ আল-কাদরি।

গাজা উপত্যকায় তিন ইসরাইলি তরুণকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ইসরাইল এ ঘটনার জন্য হামাসকে দায়ী করে। এর পর পরই এক ফিলিস্তিনি যুবক অপহৃত হন এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ করে হামাস।

এরপর গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলা। পাশাপাশি হামাসও ইসরাইল লক্ষ্য করে মর্টার ও রকেট হামলা চালাতে থাকে। গাজায় প্রতিদিনই নিহতের সংখ্যা বাড়লেও ইসরাইলে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানাচ্ছে, হামাস এ পর্যন্ত ৫২০টি মর্টার ও রকেট হামলা চালিয়েছে। তারমধ্যে ডোম মিশাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৪০টি রকেট বিধ্বস্ত করেছে।

হামাসের হামলা থেকে রক্ষার জন্যই ‘অপারেশন প্রটেকটিভ এজ’ নামে বিমান হামলা শুরু করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল। এজন্য গাজা উপত্যকা ও সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার ইসরাইলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনিরা।

তবে ইসরাইল বলছে, তারা হামাসের ‘সন্ত্রাসী’।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।