ঢাকা: গাজায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ায় নতুন করে এ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।
মিশরের ওই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল মেনে নিলেও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস একে ‘অবমাননাকর’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে।
গাজায় গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১৯৪ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী-শিশু-বৃদ্ধ সহ বেসামরিক নাগরিক।
মঙ্গলবার গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। অপরদিকে হামাসও রকেট ছুঁড়ে এর জবাব দেয়।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, তার দেশ গাজায় অভিযান জোরদার করবে। মিশরীয় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কার্যকর না হওয়ায় ইসরায়েল এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে হামাসের কর্মকর্তা মুশির আল মাসরি বলেন, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন তারা।
জানা গেছে, যুদ্ধবিরতির শর্তের মধ্যে আছে গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ, যা হামাস সহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি পক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
অপরদিকে যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ, গাজায় আরোপ করা অবরোধ প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলে কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে হামাস।
এদিকে গাজার একটি হাসপাতালে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জায়াদ আয়াদের প্রবেশ ঠেকাতে শত শত ফিলিস্তিনি জুতা নিয়ে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
গাজার পরিস্থিতি ঘুরে দেখতে পশ্চিম তীর থেকে পিএলএ নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জায়াদ আয়াদের আসার কথা ছিলো সেখানে।
এ সময় এক প্রতিবাদকারী বলেন, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একজন গুপ্তচর এবং প্রধানমন্ত্রী হামদাল্লাহ একজন দালাল।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৪