ঢাকা: ফিলিস্তিনের গাজায় ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দেশটির প্রধানমনন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর স্থল অভিযানের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার রাতে ট্যাংক নিয়ে গাজায় প্রবেশ করে সেনাবাহিনী।
গাজা থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমান ও যুদ্ধজাহাজ থেকে ভারি বোমা হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী গাজায় ট্যাংক-আর্টিলারি বসিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। এছাড়া, গাজা উপদ্বীপের বিশাল এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তবে কী কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন তা জানা যায়নি।
নেতানিয়াহু ও তার সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়া’আলনের দাবি অনুযায়ী, গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের যোগাযোগের সুড়ঙ্গপথ ধ্বংস করে দিতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ১৩ জন অস্ত্রধারী গাজা থেকে সুড়ঙ্গপথে ইসরায়েলে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে, তাদের আটক করে আটজনকে হত্যা করে। গাজার সামরিক সংগঠন হামাস এ অভিযানের সত্যতা স্বীকার করেছে।
এ অভিযানের আগে জাতিসংঘসহ পশ্চিমারা ইসরায়েলকে পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়, যেন গাজার বেসামরিক লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় মালপত্র ও স্বজনদের নিয়ে সরে যেতে পারে।
যুদ্ধবিরতির পাঁচ ঘণ্টা সময় অতিক্রম হওয়ার কিছুক্ষণ পরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফের রক্তক্ষয়ী অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানায় দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এ খবর খানিকবাদেই অস্বীকার করে ইসরায়েল ও হামাস।
চুক্তির ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর উড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিগডর লিভারম্যান বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিবেদন অসত্য’।
গত ৮ জুলাই থেকে হামাসের রকেট হামলার পাল্টা জবাবে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ২৩০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৪