ঢাকা: ফিলিস্তিনি নারীদের ধর্ষণ করে এ অঞ্চলের ‘শত্রুদের’ ভয় দেখাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ওই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের এমন পরামর্শ সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এমন বিতর্কিত পরামর্শ দিয়ে ফিলিস্তিন ও অঞ্চলটির প্রতি সংহতি পোষণকারীদের কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে নিন্দার পাত্র হওয়া ব্যক্তিটি হলেন মধ্যপ্রাচ্য গবেষক ও বার-আইলান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোরদেচাই কেদার।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, সম্প্রতি একটি ইসরায়েলি রেডিওর এক অনুষ্ঠানে বার-আইলান ইউনিভার্সিটির আরবি বিভাগের অধ্যাপক কেদার বলেন, ‘একটি পদ্ধতিই সন্ত্রাসীদের ভয় দেখাতে পারে, যেমন তাদের শিশুদের অপহরণ করে হত্যা করা এবং তাদের মা-বোনকে ধর্ষণ করা। ’
তিনি বলেন, ‘যদি সন্ত্রাসীদের বলা হয়, তোমরা যদি ট্রিগারে আঙ্গুল চাপো অথবা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাও, তবে তোমাদের মা-বোনকে ধর্ষণ করা হবে। তাহলেই ওরা ভয় পেয়ে যাবে। ’
সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, গিলাদ শার, নাফতালি ফ্রায়েনকেল ও ইয়াল ইয়িফ্রাহ নামে তিন ইসরায়েলির মৃতদেহ ফিলিস্তিনির পশ্চিম তীর থেকে উদ্ধারের পর ‘হকল দিবুরিম’ (সবার কথা) নামে ওই রেডিও অনুষ্ঠানে এই পরামর্শ দেন কেদা।
কেদার বলেন, ‘আমরা কোথায় বাস করি এটা বুঝতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য হলেও সন্ত্রাসীদের এটাই প্রাপ্য। ’
একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকের এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ ইসরায়েলি সুশীল সমাজও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার মণ্ডুপাত চলছে। তবে, এর আগেও এ ধরনের বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে কড়া সমালোচনায় পড়েছিলেন কেদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৪