ঢাকা: ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যে ইসরায়েলি সৈন্যকে ‘অপহরণের’ অভিযোগ করা হয়েছিলো, সেই সেনা সদস্য যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে ইসরায়েল।
রোববার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি সৈন্য সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিন (২৩) অপহরণের ‘গুজব’ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে পড়ার জন্য অনেকাংশে ভূমিকা রাখে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে হামলার চালানোর পর পরই শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ’র মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার হামাস চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে দুই সেনাকে হত্যা ও এক সেনাকে ‘অপহরণ’ করে বলে অভিযোগ করেন।
যদিও শনিবার হামাসের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
তারপর যে স্থানে ইসরায়েলি সেনা হাদার গোল্ডিন ‘নিখোঁজ’ হন সেখানে ব্যাপক হামলা চালায় ইজরায়েল। এদিন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় দেড়শ জন নিহত হন।
এরপরই রোববার ইসরায়েল যুদ্ধক্ষেত্রে হাদার গোল্ডিনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে।
গত ৮ জুলাই থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এক হাজার ছয়শ’ ৫৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্কুলে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
এদিকে, ইসরায়েলকে আয়রন ডোম কিনতে অর্থ দিয়ে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। ৪ কি.মি থেকে ৭০ কি.মি পর্যন্ত স্বল্পমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি শেল হামলা প্রতিহত করতে এ আয়রন ডোম ব্যবহার করা হয়। এক অর্থে বলা যায়, হামাসের রকেট হামলা রুখতে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র।
** মোসাদের ওয়েবসাইট হ্যাকড্
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, অগাস্ট ০৩, ২০১৪