ঢাকা: ‘নতুন অধ্যায়ের’ সূচনা করতে দু’দিনের নেপাল সফরে কাঠমান্ডু পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে সফর নিয়ে নিজের ‘উত্তেজনার’ কথা আগেই টুইটে জানিয়েছিলেন তিনি।
মোদীর এ সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী ১৭ বছর পর হিমালয়-দুহিতার দেশে পা রাখলেন।
রোববার সকালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা প্রথা ভেঙ্গে মোদীকে স্বাগত জানান। (সাধারণত রাষ্ট্রীয় অতিথিদের বিমানবন্দরে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা স্বাগত জানান। )
এ সময় সেখানে উপ-প্রধানমন্ত্রী রাম দেব গৌতম ও প্রকাশ মান সিং ছাড়াও দেশটির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী-আমলা ও সেনাবহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর: পিটিআই।
বিমানবন্দরে গার্ড অব অনারে দুই দেশের জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি ১৯ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায় নেপাল সেনা বাহিনী।
মোদীর আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়।
বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে শত শত নেপালী নারী-পুরুষ দুই দেশের পতাকা ও নেতাদের ছবি হাতে মোদীকে স্বাগত জানান।
সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। যার মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে পারষ্পরিক আর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এ নিয়ে চুক্তিও স্বাক্ষর হতে পারে।
এর পাশাপাশি পর্যটন, শিক্ষা, কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও প্রাধান্য পাবে মোদীর এই সফরে।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সফরে ব্যক্তিগত একটি কাজও সেরে আসবেন। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই ভারতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে। ১৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া নেপালি কিশোর জিৎ বাহাদুরকে মোদী আশ্রয় দিয়েছিলেন। পরে তিনিই সেই কিশোরের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন।
দীর্ঘদিন পর জিৎ (২৬) এর পরিবারের সন্ধান পেয়েছেন মোদী। সফরে মোদী জিৎকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেবেন।
গত ২৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে মোদী প্রথা ভেঙ্গে সার্কভূক্ত দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বার্তা দিয়েছিলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখার উপর।
এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার প্রথম সফরে যান প্রতিবেশী ভুটানে। তারপরই তিনি কাঠমান্ডুতে পা রাখলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৪