ঢাকা: ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায় গণহত্যার মুখোমুখি হয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক কর্মকর্তা এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ইয়াজিদি সম্প্রদায় যে গণহত্যার মুখোমুখি তার জোরালো প্রমাণ আছে। এক সপ্তাহ ধরে বাস্তুচ্যুত ৩০ জন ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে বুধবার এক সভা শেষে এ কথা জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইভান সিমোনোভিক।
তিনি বলেন, আগস্ট থেকে দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস/আইএস) সহিংসতা শুরু করে। বর্তমানে তারা বিশাল এলাকা দখল করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শত শত নারী ও কিশোরীকে আইএস জঙ্গিরা অপহরণ করেছে। পরে তারা অনলাইন ম্যাগাজিনে জানায়, আটক এ সব নারী ও কিশোরীদের ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হাজার হাজার ইয়াজিদি দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে, হয় তাদের মুসলমান হিসেবে ধর্মান্তরিত অথবা মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে। এ আল্টিমেটামের পর হাজার হাজার ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষ দেশ ছাড়েন।
সিমোনোভিক জানান, অনেকের সঙ্গেই কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন যে, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নিতে চাপ প্রয়োগ করে আইএস জঙ্গিরা। কিন্তু রাজি না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, মাত্র ৭০০০ হাজার ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকজন শহরে অবস্থান করছেন। তবে তাদের এ জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে।
এ মাসের প্রথম দিকে মানবাধিকার বিষয়ক একটি সংস্থা জানিয়েছিল, অপহৃত ইয়াজিদি নারী ও কিশোরীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে এবং তাদের ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪