ঢাকা: আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী প্রত্যেকেই জানতে পারবেন ভবিষ্যতে তারা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ অন্যান্য কি কি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। রক্তের নমুনা পাঠিয়ে জিনোমিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক সব তথ্য।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ‘গারভান ইনস্টিটিউট’ এ তথ্য সরবরাহ করবে। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব টেস্টিং অথারিটিস-এ নিবন্ধন করানোর পরবর্তী এক বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী এই প্রতিবেদন হাতে পাবেন।
গারভান ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন মাট্টিক বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন এক প্রযু্ক্তি আসছে যা সমাজকে বদলে দেবে। বিংশ শতাব্দীর এই প্রযুক্তি প্রতিরোধকের মতোই। প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার ক্যান্সার রোগীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি এর খরচ কমিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যখন অধিক সংখ্যক মানুষ এই পরীক্ষায় আগ্রহী হবেন তখন মাত্র এক শ’ মার্কিন ডলারে এ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। জিনোমি পরীক্ষার মাধ্যমে লাখ লাখ প্রাণ বাঁচানো সম্ভব এ প্রমাণ পাওয়ার পরে গারভান ইনস্টিটিউট একটি মেডিকেয়ার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব করছে। স্তন ক্যান্সার এবং মলাশয়ে ক্যান্সার যে ধরণের জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে, একই পরিবর্তন হয় প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও। অথচ এর চিকিৎসা বেশ কঠিন। শারীরিক পরিবর্তন দেখে রোগ সম্পর্কিত সঠিক ধারণা সব সময় না পাওয়া গেলেও জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
ইতোমধ্যে সিডনির প্রিন্স অব ওয়ালেস হসপিটাল বুদ্ধি প্রতিবন্দীদের নিয়ে এ গবেষণা শুরু করেছেন। কেননা শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে এর কোনো সমাধান পাওয়া যায় না।
মাট্টিক জানান, হাজার হাজার ডলার খরচ করা হচ্ছে অনেক অমীমাংসিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। বুদ্ধি প্রতিবন্দীদের ক্ষেত্রে সাধারণ কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে একটি চিকিৎসা পদ্ধতিও বের হবে বলে আশা করা যায়। যদিও ব্যবহারিক এবং নীতিগত সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। যখন কর্মচারী এবং বীমাধারীদের পার্থক্যের বিষয়টি আসবে।
কিন্তু ন্যাশনাল হেলথ এবং মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীমাধারীদের অবশ্যই এই পরীক্ষা করার আগে বীমা কোম্পানিকে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৪