ঢাকা: বুধবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিতে গেল বিজেপি। শিবসেনার বিরোধিতা সত্ত্বেও এ দিন বিধানসভায় কণ্ঠভোটে জয় পায় ফাড়ণবীশের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।
কণ্ঠভোটে অংশ না নিলেও বিধানসভায় শক্তিশালী শারদ পাওয়ারের এনসিপির ‘নীরব’ সমর্থনের জোরে আপাতত সরকার টেকাতে সক্ষম হলেন তিনি।
কণ্ঠভোটের আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্পিকার পদও জিতে নেয় বিজেপি। স্পিকার হন হরিভাউ বাগডে।
গত ৩১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফাড়ণবীশ। কিন্তু বিধানসভায় এককভাবে সর্ববৃহৎ দল হলেও তাঁর সরকার টিকিয়ে রাখতে ফাড়ণবীশের প্রয়োজন ছিল আরও ২৩ জন বিধায়কের সমর্থন।
বিধানসভায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দল শিবসেনার সঙ্গে ভোটের আগেই বিজেপি‘র ২৫ বছরের জোট ভেঙে যায়। তবু নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপি যে তাদের সমর্থন নিয়েই সরকার গড়বে সে বিষয়ে সেনা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু বিজেপি তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে গেলেও, সরকার গঠনে কোন দলের সমর্থন নেবে সে ব্যাপারে ছিলো নীরব।
এ পরিস্থিতিতে শিবসেনা নানাভাবে বিজেপিকে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করলেও শেষে ক্ষুব্ধ হয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দেন তারা বিরোধী আসনেই বসবেন।
সকালে শিব সেনা নেতা রামদাস কদম বলেন, “শিবসেনা বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আস্থা ভোটে আমরা বিজেপি’র বিরুদ্ধেই ভোট দেব।
বুধবার ছিল মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়ণবীশের অগ্নি পরীক্ষা। স্পিকার নির্বাচন তো বটেই, আস্থা ভোটের মাধ্যমে নিজের ১৩ দিনের সরকার টিকিয়ে রাখাও ছিল তার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
১৯৯৬ সালে কেন্দ্রে একক সর্ববৃহৎ দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। কিন্তু শপথগ্রহণের ১৩ দিনের মাথায় আস্থা ভোটে জিততে না পেরে টলে যায় অটলবিহারীর সেই সরকার। একই পরিস্থিতি দেখা দেয় ফাড়ণবীশের ক্ষেত্রেও। ১৩ দিন আগেই তিনি শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। কিন্তু ‘ম্যাজিক সংখ্যা’ না থাকায় বিধানসভায় আস্থা ভোটে সরকার টিকিয়ে রাখার দায় ছিল তাঁর। সেই দায় থেকেই বুধবার মুক্ত হলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৪