বেইজিং: লিবিয়ায় সেনা তৎপরতা বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করবে না বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে দেশটির শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে ন্যাটো নেতৃত্বে চলমান বিমান হামলার উল্লেখ করে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র বিরতিরও আহ্বান জানান তিনি।
বেইজিং এ অবস্থান করা জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাইদো ওয়েস্টেরওয়েলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিচির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন। এক সরকারি সফরে বর্তমানে চীনে অবস্থান করা ওয়েস্টেরওয়েলে পরে জাপান সফর করবেন।
সাংবাদিকদের ওয়েস্টারওয়েলে বলেন, ‘এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক আইন আছে এবং আমাদেরও অবশ্যই এ পদ্ধতিতেই অগ্রসর হওয়া উচিত। আর অবশ্যই তা অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উচিত যা গাদ্দাফিকে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করবে। ’
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের আইনের আওতায় গত ১৯ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক এবং বেলজিয়ামের যুদ্ধবিমান লিবিয়ার সেনা স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে।
এ হামলায় জোট বাহিনীর মূল লক্ষ্য লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ৪১ বছরের শাসন ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা।
তবে চীন ও জার্মানি লিবিয়ার আকাশে নো ফ্লাই জোন আরোপ বিষয়ক আইনে ভোট দেওয়াসহ হামলায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকে।
এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং বলেন, ‘১৯৭৩ সালের আইনে সহিংসতা বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেসামরিক নাগরিকদের অব্যাহত নিহত ও আহতের ঘটনা এবং সংঘর্ষের সংবাদ আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। ’
‘সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এ আইনের বাস্তবায়ন করাসহ লিবিয়ার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করবে বলে আমরা আশা করছি। একইসঙ্গে কূটনীতিক ও রাজনৈতিক উপায়ে যথাযথভাবে এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও আশা করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘন্টা, এপ্রিল ০১, ২০১১