ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লিবিয়ার ব্রেগা শহর নিয়ে বিরোধী ও গাদ্দাফি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১১
লিবিয়ার ব্রেগা শহর নিয়ে বিরোধী ও গাদ্দাফি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ

ব্রেগা: লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাহিনীর সঙ্গে শুক্রবার দেশটির তেলসমৃদ্ধ ব্রেগা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই করেছেন বিদ্রোহীরা।

এদিকে দেশটির বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ থেকে সরে আসাসহ লিবিয়া সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছে পশ্চিমা জোট বাহিনী।



এর আগে বৃহস্পতিবার গাদ্দাফি বাহিনীর গোলার আঘাতে পিছু হটতে বাধ্য হয় বিদ্রোহীরা। মূলত রাজধানী ত্রিপোলি দখল করাসহ গাদ্দাফিকে উৎখাতের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ব্রেগার দিকে অগ্রসর হন তারা।

এদিকে বিদ্রোহীরা আক্রমণের সুবিধার্থে জোট বাহিনীকে বিমান হামলা চালানোর অনুরোধ করলেও খারাপ আবহাওয়া তা ব্যাহত করছে বলে মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা জানান।

ওয়াশিংটনে সিনেটরদের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, ‘গত তিন- চারদিন থেকে আবহাওয়া বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এমন আবহাওয়ায় এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব নয়। ’

কিন্তু বিমান হামলার সমর্থন ছাড়া পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি না থাকা এ বিদ্রাহী দলগুলো বুধবার ব্রাগবো থেকে পিছু হটতে বাধ্য হন। তবে পাল্টা আক্রমণের জন্য বৃহস্পতিবার তারা আবারও শহরটিতে জড়ো হন।

একইসঙ্গে বিদ্রোহীরা জোট বাহিনীর কাছে গাদ্দাফি বাহিনীর সমপর্যায়ের অস্ত্র সরবরাহের আবেদন করলেও তাদের বন্দুকের তুলনায় প্রশিক্ষণ অধিক প্রয়োজন বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব রবার্ট গেটস মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘তাদের প্রয়োজন প্রশিক্ষণ, নেতৃত, নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকর দল বা সংগঠন। ’

অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে ন্যাটো প্রধান অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বেসামিরক নাগরিকদের রক্ষার জন্য সেখানে কাজ করছি, তাদের অস্ত্র সরবরাহের জন্য নয়। ’

এদিকে সেনা অভিযান লিবিয়া সমস্যার সমাধান করতে পারবেনা উল্লেখ করে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র বিরতির আহ্বান জানান জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাইদো ওয়েস্টারওয়েলে।  
 
সাংবাদিকদের ওয়েস্টারওয়েলে বলেন, ‘এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক আইন আছে এবং আমাদেরও অবশ্যই এ পদ্ধতিতেই অগ্রসর হওয়া উচিত। আর অবশ্যই তা অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উচিত যা গাদ্দাফিকে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করবে। ’

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের আইনের আওতায় গত ১৯ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক এবং বেলজিয়ামের যুদ্ধবিমান লিবিয়ার সেনা স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে।

এ হামলায় জোট বাহিনীর মূল লক্ষ্য লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ৪১ বছরের শাসন ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘন্টা, এপ্রিল ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।