ব্রাসেলস: লিবিয়া অভিযানে বৃহস্পতিবার ন্যাটো পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। স্থল হামলাসহ সব অভিযানই ন্যাটোর নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।
ন্যাটোভুক্ত দেশ
বেলজিয়াম: স্থলহামলা পরিচালনার জন্য গ্রিসের অ্যারাক্সস ঘাঁটি থেকে বেলজিয়ামের ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান অংশ নিচ্ছে। এছাড়া মাইন খোঁজার জাহাজ নারসিস লিবিয়ার উপকূলে ন্যাটো বহরের সঙ্গে রয়েছে।
ব্রিটেন: ব্রিটেন বিমান হামলা পরিচালনা করছে। টাইফুন এবং টর্নেডো যুদ্ধবিমানও করেছে। আকাশ টহল দেওয়ার জন্য ই-থ্রিডি যুদ্ধবিমান এবং জ্বালানি নবায়নের জন্য ভিসি-১০ বিমান নিয়োজিত রয়েছে।
একটি ডুবোজাহাজ, দুটি ফ্রিগেট (ছোট রণতরী) লিবিয়ার সমুদ্র উপকূলে অনবরত টহল দিচ্ছে।
কানাডা: অটোয়া সাতটি সিএফ-১৮ বিমান মোতায়েন করেছে, যা বোমা হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া দুটি সিসি-১৫০ পোলারিস জ্বালানি নবায়নযোগ্য বিমান এবং উপকূলে টহলের জন্য দুটি সিপি-১৪০ যুদ্ধবিমান নিয়োজিত আছে।
ডেনমার্ক: সিসিলির সিগোনেলা থেকে ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। এরইমধ্যে ডেনমার্ক সামরিক রদস ভা-ার লক্ষ্য করে ৯৩টি স্থলহামলা চালিয়েছে। এছাড়া গত ২৩ মার্চ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং গোলাবর্ষণ করছে।
ফ্রান্স: প্যারিস গত ১৯ মার্চ বিমান হামলা পরিচালনার মধ্য দিয়ে লিবিয়া অভিযান শুরু করেছে। এছাড়া প্রায় ২০টির কাছাকাছি র্যাফেল এবং মিরেজ ২০০০ডি যুদ্ধবিমান মোতায়ন করেছে। এসবের বেশিরভাগই কর্সিকা ঘাঁটি থেকে অংশ নিচ্ছে।
গ্রিস: অস্ত্র অবরোধ এবং ‘নো ফ্লাই জোন’ জোরদার করতে একটি মাঝারি আকারের রণতরী মোতায়ন করেছে। গ্রিসের কোনো যুদ্ধবিমান স্থলহামলা পরিচালনায় অংশ না নিলেও দেশটি ন্যাটোকে চারটি সামরিক ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
ইতালি: রোম চারটি ইউরো যুদ্ধবিমান এবং চারটি ইসিআর যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। এছাড়া দেশটির সাতটি সামরিক ঘাঁটি জোটের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
নরওয়ে: ছয়টি এফ-১৬ বিমান ক্রিট দ্বীপের ঘাঁটি থেকে ‘নো ফ্লাই জোন’ আরোপ এবং এবং স্থল হামলায় অংশ নিচ্ছে।
রোমানিয়া: বুখারেস্টর কোনো বিমান হামলায় অংশ নেয়নি। তবে এপ্রিল থেকে রণতরী কিং ফার্দিন্যান্ড ২০৭ জন নাবিকসহ অস্ত্র অবরোধ জোরদার করতে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে।
তুরস্ক: তুরস্ক লিবিয়াতে যৌথ অভিযানে অংশ নেওয়ার কথা নাকচ করে দিয়েছে। তারপরও পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি ডুবোজাহাজ ন্যাটোর যুদ্ধবহরে রাখা হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি সামরিক কর্মকর্তা জাহাজের বাইরে অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্র: লিবিয়া হামলার প্রধান সমন্বয়কারী ছিল ওয়াশিংটন। তবে গত বৃহস্পতিবার ন্যাটোর হাতে হামলার মূল দায়িত্ব চলে গেছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, আগামী শনিবার তারা লিবিয়ায় সর্বশেষ হামলা চালাবে। এরপর সরে দাঁড়াবে। সমর্থনসহ পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন ১১টি জাহাজা ও ডুবোজাহাজ মোতায়েন করেছে। এগুলোর মধ্যে ইউএসএস মাউন্ট হুইটনি ও ইউএসএস কিয়ারসেজ রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র ও জ্বালানি নবায়ন করার কাজে ব্যবহৃত জাহাজও রয়েছে। এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সিসিলিতে অবস্থান করছে। ভূমধ্যসাগরে রয়েছে ইউএসএস স্টাউট ও ইউএসএস ব্যারি রণতরী। এগুলো থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে স্থলে হামলা চালানো হচ্ছে। এছাড়া রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম তিনটি বি-২ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
ন্যাটোর বন্ধু দেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ‘নো ফ্লাই জোন’ জোরদার করতে ছয়টি মিরেজ ২০০০ যুদ্ধবিমান, ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং একটি সি-১৭ বিমান মোতায়েন করেছে।
কাতার: ‘নো ফ্লাই জোন’ আরোপে করার জন্য অংশ নিয়েছে। দেশটি কোনো স্থলহামলা পরিচালনা করছে না।
সুইডেন: স্টকহোম আটটি যুদ্ধবিমান, একটি সি-১৩০ মালবাহী বিমান এবং একটি গোয়েন্দা বিমান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বিষয়টি দেশটির পার্লামেন্টে এখনো অনুমোদিত হয়নি। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডরিখ রেইনফেলট বলেছেন, সুইডেন ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। তবে হামলায় থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১১