ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের ১০ ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী

হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪
বিশ্বের ১০ ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রায় প্রত্যেকটি ধর্ম আর বিশ্বাসই শান্তির বাণী সর্বাগ্রে রাখলেও গোটা পৃথিবী এখন সন্ত্রাসের কাছেই জিম্মি। আর এই সন্ত্রাসবাদে প্রধান অভিযুক্ত ধর্মাশ্রয়ীরাই।

বিশ্বের সাধারণ মানুষ শান্তির কামনায় দিনাতিপাত করলেও ‘বৈশ্বিক রাজনীতি’ আর ‘স্বার্থ-কৌশল’র মারপ্যাঁচে দিনে দিনে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সন্ত্রাসবাদ।

বিশ্বশান্তির হুমকি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দমাতে পদক্ষেপ নিতে না নিতেই উত্থান ঘটছে আরও বহু সন্ত্রাসী সংগঠনের। এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এখন বিশ্ব অর্থনীতিতেও খানিক জায়গা দখল করেছে। অর্থনৈতিক বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ধনী ১০ সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস। সেটিই উপস্থাপন করছে বাংলানিউজ।
প্রথম ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য:
বছরে ৩শ’ কোটি ডলার লেনদেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস)



নাম: ইসলামিক স্টেট (আইএস)
বার্ষিক লেনদেন: ২০০-৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
অঞ্চল: ইরাক ও সিরিয়া।
অর্থের উৎস: তেল বাণিজ্য, অপহরণ ও মুক্তিপণ, ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাট, কর প্রভৃতি।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ইরাক , সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এবং খ্রিস্টান ও ইহুদীসহ কাফেরদের (অমুসলিম) নির্মূল করা।

ছিল আল-কায়েদার উপ-শাখা। কিন্তু আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি কীভাবে এতো দ্রুত বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও স্বতন্ত্র সংগঠন হয়ে গেল এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সমরবিদরা। সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সংগঠনটি মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও এ জাতীয় প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আইএস বর্তমানে সিরিয়ার ৬০ শতাংশ মজুদকৃত (রিজার্ভ) তেলের নিয়ন্ত্রণ করছে। নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইরাকের প্রধান সাতটি তেল ও গ্যাস মজুদকেন্দ্র। এর মধ্যে ইরাকের প্রধান তেল পরিশোধন কেন্দ্রও রয়েছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সময় প্রয়াত সাদ্দাম হুসেইন যেভাবে কালোবাজারে তেল বিক্রি করতেন সেই প্রক্রিয়াকে খানিকটা উন্নত করে আইএসও কালোবাজারে তেল বিক্রি করছে। তবে সাধারণ বাজারের চেয়ে ৪০-৭৫ শতাংশ কমে এ তেল বিক্রি কছে তারা। তারপরও প্রতিদিন ৩০ লাখ ডলার পকেটে পুরছে এবং প্রতিবছরে সংগঠনটি একশ’ কোটির ডলারেরও বেশি লাভ করছে। এতো গেল কেবল তেলের কথা।

আইএস’র অর্থের অন্যতম উৎস লুটতরাজও। প্রত্যেক আক্রমণের সময়ই এরা লুটকে সৎকর্ম মনে করে। সিরিয়ার আলফতে হামলা চালিয়ে ৬৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৮ হাজার বছরের পুরাকীর্তি লুটে নিয়ে যায় আইএস জঙ্গিরা। মসুলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি ডলার নগদে লুটে নিয়েছিল সংগঠনটির লোকেরা।

এছাড়া, বিভিন্ন বিদেশি নাগরিককে আটক করে জ্ঞাতসারে এখন পর্যন্ত ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুক্তিপণ হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছে আইএস।

এসবের পাশাপাশি ইরাকের এক তৃতীয়াংশ, সিরিয়ার এক চতুর্থাংশ জায়গা (প্রায় দু’লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা যা জার্মানি রাষ্ট্রের সমান) আইএসের দখলে থাকায় সেখানে কৃষি, খাবার, পানীয়, বৈদ্যুতিক কেন্দ্র, বাঁধ প্রভৃতি থেকেও প্রচুর অর্থ আয় করে আইএস।

জানুন দ্বিতীয় ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য:
বছরে ১শ’ কোটি ডলার লেনদেন হামাসের


বছরে ১শ’ কোটি ডলার লেনদেন হামাসের
বছরে ১শ’ কোটি ডলার লেনদেন হামাসের



বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।