ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রকে মানবাধিকার বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করেছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১১
যুক্তরাষ্ট্রকে মানবাধিকার বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করেছে চীন

বেইজিং: চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। খবর এএফপির।



সম্প্রতি আরব দেশের কথিত ‘জেসমিন বিপ্লবে’ উদ্বুদ্ধ হয়ে চীনের কিছু ভিন্ন মতাবলম্বী ইন্টারনেটে সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিলে দেশজুড়ে মানবাধিকার কর্মীদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় শুরু করে প্রশাসন। এসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এমন আটক প্রায় ডজনখানেক মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তি দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান। হিলারির এমন আহ্বানের প্রেক্ষিতে চীন এভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

শনিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হং লেই একটি বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত মানবাধিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলানো।

হং বলেন, মানবাধিকারের প্রচারক হিসেবে ভাণ করার আগে ওয়াশিংটনকে নিজের মুখ আয়নায় দেখা উচিত।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক মানবাধিবার জরিপ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। জরিপ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চীন মানবাধিকার কর্মীদের ওপর বল প্রয়োগ করছে, গণমাধ্যম ও স্বাধীনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বাড়াবাড়ি এবং তিব্বত ও মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং অঞ্চলে নিপীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রতিবদেনটির পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার হিলারি বলেছিলেন, মানবাধিকার বিষয়ে বেইজিংয়ের রেকর্ড দিন দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সময়ে মানবাধিকার আইনজীবী, কর্মী, লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বন্দি করে রাখার যে খবর পাওয়া গেছে সে ব্যাপারে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ’

উদাহরণ হিসেবে তিনি বেইজিং অলিম্পিক ২০০৮ এর বার্ড নেস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ডিজাইনার আই ওয়েইওয়েইকে আটক করার কথা বলেন।

আই ওয়েইওয়েইকে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই গত ৩ এপ্রিল আটক করা হয়েছে। গত বছরের শান্তিতে নোবেল বিজয় লিও জিয়াবাওকে চীনা কর্তৃপক্ষ বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রেখেছে।

শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার প্যানেলও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

গত মাসে বিদায় নেওয়া চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন হান্টসম্যান জনসমক্ষে বলেন, ‘মানবাধিকারের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রাম চলবে। আমরা এমন করি চীনের বিরোধিতার জন্য নয় বরং আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের মূল্যায়ন করি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।