কায়রো: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
রোববার মিশরের সরকারি কৌঁসুলি মোবারক ও তার দুই ছেলের প্রতি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজিরা দেওয়ার সমন জারি করেছেন। দুই ছেলের নাম গামাল ও আলা। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা এ খবর জানিয়েছে। এর আগে মোবারক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির বর্তমান সামরিক সরকার।
রোববার মোবারকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আহমেদ নাজিফকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১১ ফ্রেব্রুয়ারি মোবারক লাখো মানুষের বিক্ষোভের মুখে সরকার থেকে পদত্যাগ করে লোহিত সাগরের তীরবর্তী অবকাশ কেন্দ্র শারম আল-শেখে চলে যান।
তিনি বলেন, সম্মান রক্ষার অধিকার তার রয়েছে এবং বিদেশে সম্পদ রাখার বিষয়টিও তিনি নাকচ করে দেন।
মোবারক বলেন, ‘আমার ও আমার পরিবার লক্ষ্য করে অন্যায় ও অসত্য প্রচারণায় আমি অত্যন্ত ব্যথা পেয়েছি। ’ তিনি বলেন, ‘তারা আমার সম্মানে কালিমালেপন করতে চায়। আমার সততা, অবস্থান, রাজনৈতিক ও সামরিক ইতিহাসে মিশরের মানুষের শান্তির জন্য এবং এর পক্ষে যুদ্ধে আমি যে কাজ করেছি তা তারা নস্যাৎ করতে চায়। ’
মোবারক (৮২) গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সর্বশেষ ভাষণ দেন। সেসময় তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর গত দুই মাসে এটাই তার প্রথম বক্তব্য।
ধারণা করা হচ্ছিল তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তার কর্মকর্তারা তা নাকচ করে দিয়েছেন। মোবারক বলেন, বিদেশে তার কোনো সম্পত্তি বা ব্যাংক হিসাব নেই। এসংক্রান্ত তদন্তে তিনি সহযোগিতা করবেন বলেও জানান।
গত শনিবার তার অডিও বার্তাটি রেকর্ড করা হয়। আল অ্যারাবিয়া টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১১