ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আপন ঘরে ফিরছে প্রথম মহাকাশ ক্যাপসুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১
আপন ঘরে ফিরছে প্রথম মহাকাশ ক্যাপসুল

নিউইয়র্ক: মানুষের মহাকাশ যাত্রার সুবর্নজয়ন্তীতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম মহাকাশ যাত্রার ক্যাপসুলটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবার আপন ঘরে ফিরছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিলামহাউস সোথবিতে ২৯ লাখ মার্কিন ডলারে মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে এটি।

কিনেছেন এক রুশ। সোথবির এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। খবর এপির।

সোথবি জানায়, নাম প্রকাশ না করা বিক্রেতা কয়েক বছর আগে এক রুশের কাছ থেকে গোপনে ক্যাপসুলটি কিনে নেন। এখন তিনি সেটি আবার বেচে দিলেন।

এই মহাকাশ ক্যাপসুলটি প্রথম মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের মহাকাশ যাত্রার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়েছিল। গ্যাগারিনকে বহনকারী মহাকাশযানটির নাম ছিল ভস্টক ৩কেএ-৩।

১৯৬১ সালে এ ক্যাপসুলটি মহাকাশচারীর একটি ডামি এবং একটি জীবন্ত কুকুর নিয়ে মহাকাশে যাত্রা করে তা আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।

সোথবির কর্মকর্তা ডেভিড রেডেন জানান, ভস্টক ৩কেএ-২ নামে মহাকাশ ক্যাপসুলটি কিনেছেন রাশিয়ার একজন ব্যবসায়ী এভজেনি ইউরচেঙ্কো।

ডেভিড আরো জানান, ক্যাপসুলটি নিজের দেশে ফিরিয়ে নিতেই ইউরচেঙ্কো এটি কিনেছেন।

ইউরচেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে সোথবি এক বিবৃতিতে জানায়, তিনি আশা করেন ভস্টক তার উপযুক্ত স্থানেই জায়গা পাবে। রাশিয়ার মহাকাশ যাত্রার প্রকল্পের ইতিহাস রচনায় উৎসর্গীকৃত দেশের এমন জাতীয় কোনো যাদুঘরে এটি শোভা পাবে।

অ্যালুমিনিয়াম সঙ্করে তৈরি ক্যাপসুলটির ব্যাস মাত্র ৭ ফুট। এটি ছিল মহাকাশে পাঠানো প্রথম জীবন্তপ্রাণিবাহী পরীক্ষামূলক মহাকাশযান।

নিলামে এর প্রাথমিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ লাখ থেকে এক কোটি মার্কিন ডলার। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ক্যাপসুলটি গোপন রাখা হয়েছিল।

জানা যায়, মহাকাশে পরিভ্রমণের পর পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশের সময় ক্যাপসুলটি জ্বলে যায়। এ কারণে এর নাম রাখা হয় ভেজদোচকা বা ‘ছোট্ট তারা’। তবে তা পৃথিবীতে নিরাপদেই প্রত্যাবর্তন করতে সমর্থ হয়।

ক্যাপসুলের ভিতরে মানুষের আদলে যে ডামি মহাকাশচারী ছিল তার নাম রাখা হয়েছিল ‘ইভান ইভানোভিচ’।

ক্রেতা রেডেন বলেন, ‘ভস্টক ৩কেএ-২ কে রাশিয়াতে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে খুবই জটিল প্রক্রিয়া। এর কারণ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এটি একটি মহাশূন্যের বস্তু হিসেবে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সংরক্ষিত। এর জন্য বিশেষ কিছু ছাড়পত্র লাগে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।