দোহা: লিবিয়ার সংকট নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে ফ্রান্স ও ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে।
লিবিয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, দেশটির অর্ধেকেরও বেশি লোকজনের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। বিদ্রোহীরা প্রথমবারের মতো নিজেদের উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকদের নিয়ে এ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছে।
সম্মেলনে বিদ্রোহীদের সামরিক বাহিনীকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে এখানে আলোচনা হবে। এর আগে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন জানায়, লিবিয়ায় ন্যাটো বাহিনী যথেষ্ট তৎপর না।
প্রথমত, কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিতে এতে আলোচনা করা হবে। ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ গাদ্দাফির কাছ থেকে পরিষ্কার বার্তা চায়। দ্বিতীয়ত, লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়েও এখানে কথা হবে। দেশটির রাজনৈতিক বিকাশ নিয়ে বিরোধীদে উৎসাহ দেওয়া হবে।
সম্মেলনের তৃতীয় বিষয় হচ্ছে, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোয় সরাসরি আর্থিক সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করা হবে। সম্মেলন সামনে রেখে কাতারের ক্রাউন প্রিন্স শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি বলেন, লিবিয়া মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, প্রধান তিনটি বিষয় নিয়ে দোহায় আলোচনা চলবে:
১. গাদ্দাফির ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাব ও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা এবং এর মাধ্যমে গাদ্দাফির সরে দাঁড়ানো নিশ্চিত করা।
২. লিবিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পনার ব্যাপারে কথা বলা।
৩. গণতান্ত্রিক লিবিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অনুমোদন দেওয়া।
জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিনিধিদের বলেন, লিবিয়ার ৩৬ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। লিবিয়ায় মোট জনসংখ্যা ৬০ লাখ। তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসেব মতে, ‘গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার ৭০০ লোক তিউনিসিয়া ও মিশরে চলে যাচ্ছে। আর তিন লাখ ৩০ হাজার লোক দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১