ঢাকা: ইরাক ও সিরিয়া অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে এবার নিজেদের ‘দলত্যাগী’ সহযোদ্ধা হত্যার অভিযোগ উঠেছে। চীনের তিন নাগরিক তাদের এ নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে বলে প্রথমবারের মতো খবরে এসেছে।
চীনা সরকারি একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবরে এ ব্যাপারে বলা হয়, আইএসের হয়ে যুদ্ধে লড়ার পর বিতৃষ্ণা থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে ওই চীনা নাগরিকদের আটক করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আইএসের ক্রমাগত আগ্রাসনে চীন তার উইঘুর উপজাতি অধ্যুষিত ঝিনজিয়াং প্রদেশ প্রভাবিত হওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কাবোধ করলেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি দমনে পশ্চিমা বাহিনীর সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ে এখনও কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
আইএসের হয়ে প্রায় ৩০০ চীনা উগ্রপন্থির লড়াইয়ের কথা জানিয়ে একজন কুর্দি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, আইএসের ‘জিহাদের’ ব্যাপারে হতাশ হয়ে এক চীনা নাগরিক গত সেপ্টেম্বরে ফিরে যেতে চাইলে তাকে আটক করে ‘শরিয়া আইনে বিচারের’ মুখোমুখি করে আইএস। তারপর তাকে গুলি করে হত্যা করে।
এরপর ডিসেম্বরের শেষ দিকে আরও দুই চীনা সদস্যের শিরশ্ছেদ করে আইএস। ওই দুই সদস্যের বিরুদ্ধেও বিশ্বাসঘাতকতা ও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।
গত বছরের জুনে খিলাফত ঘোষণার পর সিরিয়ার উত্তর ও পূর্বাঞ্চল এবং ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল দখলে নেয় আইএস। তারপর থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির হাতে কয়েকশ’ লোকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আবার যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপানসহ বেশ কিছু পশ্চিমা অপহৃত নাগরিকের শিরশ্ছেদ করেছে আইএস। সবশেষ জর্দানি এক পাইলটকে আটকের পর পুড়িয়ে হত্যা করে নৃশংস সন্ত্রাসী সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫