সানিয়া: বিশ্বের প্রধান পাঁচটি উত্থানশীল দেশ লিবিয়াতে সামরিক বাহিনী ব্যবহারের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার চীনের প্রমোদনগরী সানিয়াতে আয়োজিত সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নেতারা এ মন্তব্য করেন।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার (ব্রিকস) নেতারা সতর্ক করে এও বলেন, পণদ্রব্যের অস্থিতিশীল মুল্যের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার তৎপরতা ধীরগতি হয়ে পড়তে পারে এবং একইসঙ্গে ব্যাপক পূঁজির প্রবাহ উন্নয়শীল বিশ্বের ওপর (নেতিবাচক) প্রভাবিত করতে পারে।
চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাকব জুমা, ব্রাজিলের দিলমা রুসেফ, রাশিয়ার দিমিত্রি মেদভেদেভ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ মোর্চা গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে জাতিসংঘ, আইএমএফ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে থেকে জোর গলায় কথা বলা যায়।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এই পাঁচটি দেশেই রয়েছে। লিবিয়ার ব্যাপারে দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়।
একটি যৌথ বিবৃতিতে নেতারা জানান, ‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, সব পক্ষেরই উচিৎ তাদের বিভেদগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা এবং সংলাপ আয়োজন করা, যাতে জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক সংস্থাগুলো তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে। ’
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া ব্রিকসের বাকি চারটি দেশ ন্যাটোর নেতৃত্বে লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা লিবিয়াতে নো ফ্লাই জোন আরোপসহ সব পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।
পরে মেদভেদেভ জানান, জাতিসংঘের প্রস্তাবে লিবিয়াতে সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়নি আর এ ব্যাপারে তাদের মোর্চা (ব্রিকস) ঐক্যবদ্ধ।
চীন ও রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। এ দুটি দেশ পরিষদে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি ভেটো দিতে পারবে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল অস্থায়ী সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১১